‘ওঁরা যাই করুন, আমরা প্রতিরক্ষা দেব’, চাকরিহারাদের উদ্দেশে বার্তা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। তাঁর বক্তব্য, ‘চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা অংশ কোনওভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন, ‘সরকার সব রকম সাহায্য করছে। ওঁদের প্রতিনিধিরাই আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছেন। আন্দোলন, প্রতিবাদ স্থগিত রাখা যেত। এ সবের জন্য তো দিন পড়ে আছে।’ রাজ্যের একাধিক ডিআই অফিসে চাকরিহারা প্রার্থীদের উপর লাঠিচার্জের ঘটনায় এমনই প্রতিক্রিয়া শিক্ষামন্ত্রীর।
বুধবার সকালে কসবা ডিআই অফিসে জড়ো হন চাকরিহারাদের একাংশ। তাঁদের আটকাতে ডিআই অফিসের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ বাহিনী। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন চাকরিহারারাও। তাঁদের উপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা আহত হন। কসবা ছাড়াও বারাসত, বর্ধমান, হাওড়াতেও একই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘ওঁরা প্রভাবিত হয়েছেন। কিন্তু ওঁরা যাই করুন না কেন, আমরা ওঁদের পাশে আছি। ওঁরা তালা ভাঙুন, আন্দোলন করুন, যাই করুন না কোনও আমরা যোগ্য চাকরিহারাদের সুরক্ষা দেব।…ওঁরা যে কোনও পন্থা নিতে পারেন, আমরা শান্তির পথে সমাধানে বদ্ধপরিকর।’ চাকরিহারাদের ‘ধৈর্য’ ধরার কথাও জানান তিনি। যদিও, পুলিশ কেন নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করল সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনও মন্তব্য করেননি শিক্ষামন্ত্রী।
চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের দাবি, মিরর ইমেজ দ্রুত প্রকাশ করা হোক। এসএসসির কাছে মিরর ইমেজ আছে। কিন্তু সেই মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হচ্ছে না বলেই আন্দোলন করছেন তাঁরা। বেতন বন্ধের আশঙ্কাও করছেন অনেকে। ব্রাত্য বলেন, ‘ওঁদের বেতন তো বন্ধ করা হয়নি। কাউকে তো টার্মিনেট করা হয়নি।’