• ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণার অভিযোগ, সাইবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আট জন...
    আজকাল | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভুয়ো কল সেন্টারের আড়ালের নানা অছিলায় গ্রাহকদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে প্রতারণার ঘটনায় আট জনকে গ্রেপ্তার করল সাইবার থানার পুলিশ। মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার পাটুলির অন্তর্গত বৈষ্ণবঘাটা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে মোট ১৮টি মোবাইল ফোন (যার মধ্যে ১০টি ডায়ালার ফোন), ৫৩টি সিম কার্ড, এবং একটি নোটবই উদ্ধার করা হয়েছে। অফিসটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হবে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, সাইবার থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো কল সেন্টার প্রতারণা সংক্রান্ত মামলার তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিবিম্ব পোর্টাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি সন্দেহজনক নম্বর নজরে আসে তদন্তকারীদের। সেই নম্বরের সঙ্গে আরও অনেকগুলি নম্বরেরও খোঁজ মেলে। সেই নম্বর গুলির লোকেশন ট্র্যাক এবং কল ডিটেলস খতিয়ে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় একটি ভুয়ো টেলিকলার সার্ভিস সক্রিয় রয়েছে। সেই নম্বরের সূত্রে ধরে মঙ্গলবার পাটুলির বৈষ্ণবঘাটা এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থিত একটি অফিসে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে পৌঁছে দেখা যায়, নানা অছিলায় সম্ভাব্য গ্রাহকদের ফোন করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন অজুহাতে গ্রাহকদের ফোন করে প্রলুব্ধ করা হচ্ছিল। যেমন গ্রাহক কোন পণ্য অনলাইনে অর্ডার দিতে যে পিন কোড দিয়েছেন সেই এলাকায় না কি প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে পণ্যটি কুরিয়ার বিভাগের মাধ্যমে পাওয়ার জন্য গ্রাহককে অনলাইনে টাকা প্রদান করতে হবে। গ্রাহকদের এও আশ্বাস দেওয়া হচ্ছিল যে, গ্রাহক এই অর্থ পাঠানোর পর পূর্বে দেওয়া টাকাও ফেরত পাবেন। নানা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁরা গ্রাহকদের বিভিন্ন পেমেন্ট মোডের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বাধ্য করছিল। কিন্তু টাকা পাঠানোর পর, গ্রাহকরা পণ্য তো পাননি, উপরন্তু টাকা ফেরতও পাননি।

    অভিযানের সময় তদন্তকারীরা নানা কাগজপত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত সকলে সেই কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হযন। সেখান থেকে বেশ কিছু প্রমাণ এবং নথি সংগ্রহ করা হয়েছে, যেগুলি কল সেন্টার চালাতে ব্যবহার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সংগৃহীত প্রমাণের ভিত্তিতে আহতেশাম পারভেজ ওরফে রিকি (২৬), অমিত কুমার (২৭), সোমু দাস (৩১), অভিক বোস (৩০), রাজেশ খান (৩০), সাদ্দাম হোসেন (৩৩), আরমান আলি (৩৫), রবি পাণ্ডা (২৮)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    ধৃতদের বিরুদ্ধে আইটি আইন, ২০০০ এর ৬৬সি/৬৬ডি ধারায় এবং বিএনএস, ২০২৩ এর ধারা ৬১(২)/৩১৮(৪)/৩১৯(২)/৩৩৬(২)/৩৩৬(৩)/৩৩৮/৩৪০(২) অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
  • Link to this news (আজকাল)