গড়িয়াহাটে একেবারে বাসের সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়েন চাকরিহারা শিক্ষকরা। একাধিক শিক্ষিকাও রাস্তায় বসে পড়েন। একাধিক চাকরিহারা বলেন, যোগ্য়দের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এসএসসিকে সেই লিস্ট প্রকাশ করতে হবে।
এদিকে গড়িয়াহাট মোড় কলকাতার অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা। সেই এলাকা কার্যত অবরূদ্ধ হয়ে যায়। একেবারে গোল হয়ে বসে যান চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁদের একাংশের মতে, আমাদের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেকারণেই আমরা রাস্তায় নেমে গিয়েছি। আমরা বাধ্য় হয়েছিল রাস্তায় নামতে।
তবে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তাঁরা রাস্তা ছেড়ে দেন। মূলত সাধারণ মানুষের যাতে সমস্যা না হয় সেকারণেই তাঁরা রাস্তা ছেড়ে সরে যান।
চাকরিহারা এক শিক্ষিকা বলেন, আমি চটি চেটে এই জায়গায় আসিনি। সেই ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করে এই জায়গায় এসেছি। আর আজ রাস্তায় নামতে হয়েছে।
এদিকে শিক্ষকদের একাংশ বলেন, আমরা একেবারে মরে গিয়েছি। আমাদের আর মারবেন না।
অপর এক শিক্ষিকার বলেন, যারা আমাদের মারল সেই পুলিশরা যদি কোনও এক সকালে দেখেন তাদের চাকরিটা নেই, তখন কেমন হবে!
তবে পুলিশের অবশ্য দাবি, মৃদু লাঠিচার্জ হয়েছে।
এক্স হ্যান্ডেলে কলকাতা পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, 'আজ কসবা ডিআই অফিসের বাইরে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে যে, প্রথমে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা, বিনা উসকানিতে পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং হিংসাত্মক আচরণ করে, যার মধ্যে মহিলা পুলিশ কর্মীরাও ছিলেন।চারজন পুরুষ পুলিশকর্মী এবং দুইজন মহিলা পুলিশকর্মী আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আরও ক্ষয়ক্ষতি ও আহতের ঘটনা রোধ করতে পুলিশ বাধ্য হয়ে হালকা বলপ্রয়োগ করে।এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।'
তবে চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা।