• বিক্ষোভে শঙ্কর, অগ্নিমিত্রা! ‘ঢুকতে দিন, আমি MLA!’ লালবাজারের দরজায় অশোক দিন্দা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • কসবায় ডিআই অফিসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ চাকরিহারা শিক্ষকদের। তারা জোর করে ডিআই অফিস চত্বরে প্রবেশ করেন বলে খবর। এরপরই পুলিশ মারমুখী হয়ে যায়। তুমুল লাঠিচার্জ করে পুলিশ। দাবি চাকরিহারা শিক্ষকদের। তাঁদের দাবি আপনাদের সন্তানদেরই তো পড়াই। আমাদের লাথি মারছেন!

    এক শিক্ষিকা বলেন, আমাদের ক্লাসরুমে থাকার কথা ছিল। সেই জায়গায় আমাদের রাস্তায় থাকতে হচ্ছে।

    এদিকে এই লাঠিচার্জের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা লালবাজারের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের দাবি, পুলিশ নির্মমভাবে চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ করেছে।

    এদিকে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ অন্যান্যরা। এরপর পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যায়। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্যান্যদের পুলিশ প্রিজন ভ্যানে তোলে। এরপরই তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। 

    কিছুক্ষণ পরেই লালবাজারের দরজায় চলে আসেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। তিনি লালবাজারে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু দরজা বন্ধ থাকায় তিনি প্রবেশ করতে পারেননি। 

    ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা বলেন,  আমাদের সতীর্থরা অ্য়ারেস্ট হয়েছে ঢুকতে পারব না। কেন আমায় লালবাজারে ঢুকতে দিচ্ছেন না। বিজেপি বিধায়ক হিসাবে আমি ঢুকতে পারব না। আমি একা এসেছি। কেন আমি ঢুকতে পারব না। ডাকুন আপনাদের অফিসারদের। 

    অশোক দিন্দা বলেন, প্রতিবাদ করলেই মার খাবে। এটা হল হিসাব। এটাই চলছে গোটা রাজ্যে। তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন। 

    গোটা ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়াচ্ছে জেলায় জেলায়। 

    চাকরিহারা শিক্ষকদের দাবি, পুলিশ জেলায় জেলায় চাকরিহারা শিক্ষকদের নির্যাতন করছে। কসবায় পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। পুলিশ লাথি মেরেছে। 

    কসবায় এক শিক্ষক বলেন, পেটে আগুন জ্বলছে। সারা বাংলায় এবার আগুন জ্বলবে।

    অপর এক শিক্ষিকা বলেন, ওখানে উনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আর এখন পুলিশ লাঠিপেটা করছে। আমাদের ন্যায্য দাবি চাইতে এসেছি।

    কোচবিহার, বারাসত কৃষ্ণনগর, শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, সর্বত্র এই অশান্তির আগুন ক্রমশ ছড়াচ্ছে।

    এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলও এবার তাদের মতো করে রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। মূলত চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের দুর্দশা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। কেন  এসএসসি যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা করল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)