কসবায় DI অফিসে ধুন্ধুমার, চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ 'অমানবিক' পুলিশের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
চাকরি হারানোর প্রতিবাদে আজ রাজ্য জুড়ে জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযানে গিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কসবার ডিআই অফিসেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা গিয়েছিলেন বাকি জায়গার মতো। আর সেখানেই পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করল চাকরিহারাদের ওপরে। এমনকী শিক্ষিকাদের ওপরও লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কসবায় আজ চাকরিহারাদের বাধা দিতে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছিল। সেই ব্যারিকেড টপকে ডিআই অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শিক্ষকরা। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। সেই সময় চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ হয়েছে। এদিকে লাঠিচার্জ অবশ্য দাবি করছেন, আন্দোলনকারী শিক্ষকরা নাকি পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছিলেন। তিনজন পুলিশ নাকি হাসপাতালে ভরতি। এই আবহে পুলিশ নাকি চাকরিহারাদের সেখান থেকে সরাতে লাঠিচার্জ করেন।
ইতিমধ্য়েই 'যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ ২০১৬' ব্যানারের নীচে একজোট হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারা 'যোগ্য' প্রার্থীরা। গত সোমবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই 'যোগ্য' প্রার্থীদের সঙ্গেই কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন - যোগ্য কারও চাকরি তিনি যেতে দেবেন না। তার জন্য আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুসারেই পদক্ষেপ করবে তাঁর সরকার। তবে সেদিনও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল বহু চাকরিহারা শিক্ষককে।
এই প্রেক্ষাপটে বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডিআই অফিস ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন চাকরিহারা 'যোগ্য' প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকরা ডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এরই মাঝে তুলকালাম কাণ্ড কসবায়। এদিকে পুলিশি লাঠিচার্জ-বেধরক মারে অসুস্থ একাধিক শিক্ষক। এদিকে অভিযোগ, কসবার ডিআই অফিসের তালা ভেঙে ডিআই অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন চাকরিহারারা। স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন চাকরিহারারা। তবে শিক্ষকরা ডিআই অফিসে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করার অভিযোগও উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিকে হুগলি, বীরভূম সহ একাধিক জেলাতেও শিক্ষকদের আন্দোলনে তুলকালাম পরিস্থিতি। এদিকে লাঠিচার্জে আহত শিক্ষকদের বক্তব্য, পুলিশ কেন এভাবে অমানবিক ভাবে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করল? তারা শুধুমাত্র নিজেদের অধিকারের দাবি জানাতে এসেছিলেন। পুলিশ নিজে হেলমেট পরে শিক্ষকদের লাথি, কিল মেরেছে, গলা ধাক্কা দিয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, শিক্ষকরা আইন ভেঙেছিলেন। এদিকে শিক্ষকদের এই পরিপ্রেক্ষিতে দাবি, তারা শুধুমাত্র অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন।