সবুজ সাথীর সাইকেল পেতে দিতে হচ্ছে একশো টাকা ৷ এই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলি ব্লকের পাচুয়াখালি হাইস্কুলে। ওই স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিযোগ করেছেন এলাকার বিরোধী দলের নেতারাও। বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়ার জন্য টাকা যে নেওয়া হচ্ছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না হয় তা দেখা হবে বলে জানিয়েছেন এলাকার বিধায়ক গণেশচন্দ্র মন্ডল ৷ এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য-ও।
পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে যাতায়াত করতে পারে সেই জন্য তাদের সাইকেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। নবম শ্রেণিতে উঠলেই সবুজ সাথী প্রকল্পে তাদের বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হয়। অভিযোগ, সাইকেল পেতে ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে পাচুয়াখালি হাইস্কুলের পড়ুয়াদের।
পড়ুয়াদের দাবি, প্রতি বছরই সাইকেল দেওয়ার জন্য ওই টাকা নেওয়া হয়। কেন এই টাকা দিতে হবে তা সাহস করে শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করতে পারেনি তারা। ওই স্কুলের পড়ুয়া, যারা এ বার সাইকেল পেয়েছে, তারা জানিয়েছে, প্রতি বছর সাইকেল নেওয়ার সময় সবাই টাকা দেয়। তাই তারাও দিয়েছে ৷ এই জন্য কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি৷
এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শাসক দলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয় মণ্ডলের অভিযোগ, শুধুমাত্র পাচুয়াখালি হাইস্কুলেই নয়, এই কারবার চলেছে রাজ্য জুড়েই। প্রতিটি প্রকল্প থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি৷
তবে টাকা নিয়ে স্কুলের প্রধানশিক্ষক যে ঠিক করেননি তা জানিয়েছেন এলাকার বিধায়ক। এই ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷ পাশাপাশি যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কুলতলির বিধায়ক।
এই টাকা নেওয়া যে উচিত হয়নি তা মেনে নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তবে, সাইকেল দেওয়ার জন্য কেন টাকা নেওয়া হয়েছে তার সমর্থনে যুক্তিও দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার বিনামূল্যে সাইকেল দিলেও জামতলা থেকে খরচ করে সাইকেল নিয়ে আসতে হয় স্কুলে ৷ এই টাকা স্কুল থেকে দেওয়া সম্ভব নয় ৷ তাই ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে ৷ তবে যারা টাকা দিতে চায়নি, তাদের জোর করা হয়নি বলেও তাঁর দাবি।
এই নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কুলতলির বিডিও