• ইউনিট টেস্টে গার্ড দিচ্ছেন ভোকেশনালের শিক্ষকরাই
    এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়, জামালদহ: রুটিন মেনে অনেক স্কুলে শুরু হয়েছে প্রথম ইউনিটের পরীক্ষা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এক সঙ্গে চাকরি হারিয়েছেন স্কুলের ১০ জন শিক্ষক–শিক্ষিকা। ফলে বিপাকে পড়েছেন জামালদহ তুলসীদেবী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার হলে গার্ড দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। তাই নজরদারির দায়িত্ব এসে পড়েছে স্কুলের ভোকেশনাল কোর্সের শিক্ষকদের ওপরে।

    ওই স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইউনিট টেস্ট চলছে। শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হওয়ায় স্কুলের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে বলে বক্তব্য তুলসীদেবী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুনীলচন্দ্র দাসের। তাঁর কথায়, ‘এর আগে উৎসশ্রী প্রকল্পে বেশ কয়েকজন শিক্ষক অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তখন স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৩৭–এ। তার পরেও স্কুলের ১০ জনের চাকরি বাতিল হওয়ায় এখন শিক্ষক সংখ্যা এসে ঠেকেছে ২৭–এ। কিন্তু পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী এই সংখ্যা যথেষ্ট নয়। তাই অন্যান্য কোর্সের শিক্ষকদের দিয়ে আমরা কাজ চালাতে বাধ্য হচ্ছি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষার সময়ে কোনও রকমে কাজ চালিয়ে নিলেও আসল সমস্যা শুরু হবে সমস্ত ক্লাস শুরু হওয়ার পরে।’ আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে স্কুলের সমস্ত শ্রেণির স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরু হয়ে যাবে। ওই স্কুলের মোট পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। সবকটি ক্লাস মিলিয়ে মোট ২৫ টি সেকশন। কীভাবে ক্লাস চলবে, তা ভেবেই মাথায় হাত বাকি শিক্ষকদের। তা ছাড়া স্কুলে বাংলা ও ইতিহাস পড়ানোর জন্য একজন করেই শিক্ষক ছিলেন। দশ জনের চাকরি বাতিল হওয়ায় এই মুহূর্তে বাংলা ও ইতিহাস পড়ানোর জন্য আর কোনও শিক্ষক নেই।

    ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আরও জানান, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। এ বিষয়ে স্কুল পরিচালন কমিটির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। স্কুল পরিচালন সমিতিও জানিয়েছে, দ্রুত আলোচানায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • Link to this news (এই সময়)