সরকারের তরফে ‘যোগ্য’ চাকরিহারা প্রার্থীদের ‘বিভ্রান্ত’ করা হচ্ছে। বিভ্রান্ত না হয়ে লড়াই করতে যাওয়ার জন্যেই তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়েছে বলে দাবি সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। বুধবার বিকাশ বলেন, ‘এখানে যোগ্য-অযোগ্যের বিষয় নেই। সবাই দুর্নীতির শিকার।’
বিকাশ আগেই জানিয়েছিলেন, আদালত জানিয়েছে নিয়োগ পদ্ধতিটাই ভুল। জালিয়াতির কারণেই পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটির জন্ম থেকেই যদি জালিয়াতি হয়, সেখানে যোগ্য অযোগ্য বাছাইয়ের কোনও বিষয় নেই। ফলত, চাকরিহারা প্রার্থীদের ‘বিভ্রান্ত’ করা হচ্ছে বলে ফের দাবি করলেন তিনি।
বুধবার চাকরি ফেরানোর দাবিতে এবং ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার ওমএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে জেলায় জেলায় ডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। একাধিক জেলায় ডিআই অফিসের সামনে উত্তেজনা তৈরি হয়। এর মধ্যে কসবার ডিআই অফিসের সামনে তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয় বলে দাবি।
বিকাশ বলেন, ‘দুর্নীতি করে শিক্ষকদের চাকরি জীবন সর্বনাশ করেছেন। এখন লড়াই করতে গেলে লাঠিচার্জ করিয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। ওঁর (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নির্দেশে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।’ চাকরিহারা প্রার্থীরা আন্দোলনের রাস্তায় নেমেছেন বলেই লাঠিচার্জ করা হলো বলে দাবি করেন তিনি।
যদিও কসবার ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি অফিসে ক্ষয়ক্ষতি রুখতে এবং অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতেই পুলিশ বাধ্য হয়ে বলপ্রয়োগ করেছে। এমনকী ডিআই অফিসে ডেপুটেশন জমা দিতে যাওয়ার ব্যাপারে আগাম জানানো হয়নি বলেও দাবি পুলিশের। যদিও শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ, লাথি মারার ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয় বলে স্বীকার করেছে পুলিশ।