• রাস্তা কোনদিকে যাবে, বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির গাড়ি আটকে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: রাস্তা কোনদিক দিয়ে যাবে, এনিয়ে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির গাড়ি আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। তুমুল বাকবিতন্ডা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহ ব্লকের মহিষবাথানী গ্রাম পঞ্চায়েতের ইকরাপুকুর গ্রামে। দু’পক্ষের অধিকাংশই বিজেপি সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও ঘটনাস্থলে যাওয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সভাপতি রুম্পা রাজবংশী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর সাফাই, অফিস থেকে যেতে বলা হয়েছিল। সেইমতো সেখানে গিয়েছিলাম। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই। কাজ করতে গিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। 

    জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের নাইকি হাঁসদা ঘটনার নিন্দা করেন। তিনি বলেন, বিজেপি বনাম বিজেপি ঝামেলা হয়েছে। সেখানে বিজেপির সদস্য সহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। বিজেপির মধ্যে এখন কাটমানি নিয়ে লড়াই শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্লকের আটমাইল থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এদিন ওই কাজ পরিদর্শনে যান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। সেখানে গাড়ি আটকে বিক্ষোভ হয় বলে দাবি। একপক্ষ ফিলিপ সরকারের দাবি, আমরা বিজেপি করি। আট মাইল স্ট্যান্ড থেকে বলরামপুর রাস্তা হবে। এটা অনুমোদন হয়েছে। এদিন ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন। আমরা সেখানে যেতেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। অন্য পক্ষ আমাদের মেরেছে। তাদের মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য মেয়েদের ধাক্কাধাক্কি করেছেন। অন্যপক্ষের হয়ে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া বুথের বিজেপির সদস্য গীতা রাজবংশী বলেন, রাস্তাটি মাঝপথে লক্ষ্মীমোড় থেকে ইকরাপুকুর হয়ে মূল জায়গায় যাবে। এটাই আমাদের দাবি। সেই কাজের অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু ওরা সেটা চাইছে না। আমাদের গ্রাম দিয়ে রাস্তা যেতে দেবে না বলে বাধা দিচ্ছিল। মালদহ থানার পুলিস জানিয়েছে, বড় কিছু হয়নি। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়। অভিযোগ হয়নি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)