আরও যক্ষ্মারোগীকে নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তের উদ্যোগ
বর্তমান | ১০ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার জেলায় প্রায় ১৫০০ যক্ষ্মা রোগী জীবন যুদ্ধের লড়াই করে চলেছেন। এই যক্ষ্মা রোগীদের অধিকাংশই গরিব মানুষ। পুরুষ, মহিলা ও শিশু রোগীও এই তালিকায় রয়েছেন। এই যক্ষ্মা রোগীদের জন্য নিক্ষয় মিত্র প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু গত দু’বছরে এই প্রকল্পের অধীনে মাত্র ৩৫ জনকে আনতে পেরেছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। তাই বহু যক্ষ্মা রোগী এই প্রকল্পের প্রকৃত সুবিধা পাচ্ছেন না। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর এবার যক্ষ্মা রোগীদের এই প্রকল্পের অধীনে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্প অনুসারে যে কোনও ব্যক্তি প্রতি মাসে ন্যূনতম ৫০০ টাকার ফল সহ স্বাস্থ্যদপ্তরের ঠিক করে দেওয়া খাবার রোগীদের কিনে দিতে পারবেন। ইচ্ছুক ব্যক্তিরা ছয় মাসের জন্য এই কাজে যুক্ত হলে স্বাস্থ্যদপ্তর ওই ব্যক্তিদের নাম নিক্ষয় মিত্র পোর্টালে আপলোড করে তাঁদের ছবিও সেখানে রাখবেন। একই সঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের স্বাক্ষরিত শংসাপত্র ওই নিক্ষয় মিত্রদের দেওয়া হবে। এজন্য স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করা যাবে। দপ্তরই প্রদানকারীর এলাকায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্প কার্যকর করবে।
কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রিকুমার আড়ি বলেন, নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পের অধীনে সাধারণ মানুষ জেলার যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে পারেন। এসব মানুষকে নির্দিষ্ট অর্থের ফল সহ খাবার দেওয়া যেতে পারে। নূন্যতম ৫০০ টাকা করে ফল ছয় মাসের জন্য দিলে আমরা তা বিলির ব্যবস্থা করে দেব। প্রদানকারীর নাম, ছবি পোর্টালে আপলোড করা হবে। শংসাপত্র দেওয়া হবে। এই কাজে যত বেশি সংখ্যক মানুষ এগিয়ে আসবেন জেলায় যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তিরা তত বেশি উপকৃত হবেন। আমরা যক্ষ্মা মুক্ত জেলা গড়ে তুলতে চাই।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার জেডি হাসপাতালে প্রায় ২০ জন যক্ষ্মা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও বাইরে যে চিহ্নিত রোগীরা রয়েছেন তাঁদের সকলের জন্যই এই নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পটি রয়েছে। ৯৭৩৩৪-৩৩৩৭৩ নম্বরে যোগাযোগ করে যে কেউ এই প্রকল্পের অধীনে নিজেকে শামিল করতে পারবেন। নিজস্ব চিত্র।