ইনস্টাগ্রামে শিক্ষিকাদের ছবি দিয়ে অশ্লীল ভিডিও পোস্ট! মুচলেকা দিয়ে ‘মুক্তি’ পেল স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র
বর্তমান | ১০ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘ঘিবলি’ ট্রেন্ডে শামিল নেট দুনিয়া। নিজের ছবি আপলোড করলে অ্যানিমেশন চরিত্রের রূপ দিচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর অ্যাপ। সেই টেকনিককেই এবার অসাধু উপায়ে ব্যবহার করল এক ছাত্র। স্কুলের শিক্ষিকাদের মুখের ছবি অশ্লীল ভিডিওতে জুড়ে ইনস্টাগ্রামে আপলোড করতে থাকে সেই কিশোর। স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নামে কলকাতা পুলিসের বন্দর ডিভিশনের সাইবার সেল। অভিযুক্তকে আটক করে পুলিস। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মুচলেকা দেওয়ায় শ্রীঘরে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে স্কুল পড়ুয়া। যদিও তাকে স্কুল থেকে বহিস্কার করে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি স্কুলের কয়েকজন ছাত্রের অভিভাবক দেখেন, ইনস্টাগ্রামে স্কুলের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে। তাতে স্কুলেরই লোগো দেওয়া। সেই অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ। একের পর এক অশ্লীল ভিডিও পোস্ট হচ্ছে সেখানে। শুধু তাই নয়, সেই সব ভিডিওতে ‘সুপার ইম্পোজ’ করা হয় স্কুলের তিন শিক্ষিকার মুখ। নিমেষে ভাইরাল হতে থাকে সেই অ্যাকাউন্টটি। এরপরেই অভিভাবকদের তরফে স্কুল প্রশাসকের (অ্যাডমিনিস্ট্রেটর) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বিষয়টি নজরে আসতেই বন্দর ডিভিশনের সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্কুলের এক শিক্ষক। প্রোফাইলটি চিহ্নিত করার জন্য পুলিসকে অনুরোধ জানান তিনি। ঘটনার তদন্তে নামেন সাইবার সেলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সার্জেন্ট মনজিৎ গোয়েল।
ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটির আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পান তদন্তকারীরা। দেখা যায়, বন্দর এলাকারই একটি জায়গা থেকে ওই প্রোফাইলটি খোলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, স্কুলেরই এক ছাত্র গোটা কাণ্ডের নেপথ্যে। এর পরেই তদন্ত সংক্রান্ত গোটা বিষয়টি স্কুলের প্রশাসককে জানান তদন্তকারীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, স্কুলের নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কয়েকদিনের জন্য এক শিক্ষিকা তাঁকে সাসপেন্ড করেন। তার ‘প্রতিশোধ’ নিতেই ঘিবলি আর্টকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক শিক্ষিকাদের ছবি ডিপফেক করে ওই কিশোর। তার কম্পিউটারে বিশেষ জ্ঞান রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে ওই ছাত্র। তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়নি।