জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চাকরি চাইতে গয়ে জুটল লাঠিপেঠা! 'ডিআই অফিসে গিয়েছিলেন কেন'? চাকরিহারাদের পাল্টা প্রশ্ন করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বললেন, 'পুলিস প্রশাসন কী করেছে! পুলিস-প্রশাসনের হয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারি না। আমার জানা ছিল না। একটু আগে সমস্ত মিডিয়ায় আমি দেখেছি। পুলিসকে জিজ্ঞেস করুন'।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'সরকারের কাছে দাবি করছেন। সরকার সর্বতোভাবে সাহায্য করছে। শিক্ষা দফতর সাহায্য করছে। এসএসসি যখনই দেখা করতে চাইছেন, দেখা করছে। আমাদের সঙ্গে মিটিং চলছে। তাহলে এই আন্দোলন, লড়াই, প্রতিবাদ, এগুলি তো কিছুদিন স্থগিত রাখা যেত। এগুলির জন্য তো দিন পড়ে আছে'।
ঘটনাটি ঠিক কী? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও আশ্বস্ত নন চাকরিহারারা! চাকরি ফিরে পেতে এবার পথে নামলেন তাঁরা। চাকরিহারাদের বিক্ষোভের রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কসবা ডিআই অফিস। বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠিচার্জ করল পুলিস। কলকাতার মতোই জেলাতে ডিআই অফিস ঘেরাও করলেন শিক্ষক। কবে? আজ, বুধবার।
এর আগে, আজ বুধবার পূর্বঘোষণামতোই চাকরিহারাদের সঙ্গে এসএসসির দফতরে গিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি সাংসদ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। বস্তুত, বিকাশ ভবনে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। শেষপর্যন্ত অবশ্য প্রকাশ্যেই সেই চিঠি ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।
চাকরিহারাদের 'চোয়াল শক্ত করে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত' হওয়ার বার্তা দিয়েছেন অভিজিত্। জি ২৪ ঘণ্টাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, 'এই মহিলা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা ইনার নেই, ইনি চানও না। উনি চান, যাঁদের চাকরি বিক্রি করা হয়েছিল, তাঁদের আগে বাঁচাতে। তা না হলে যাঁরা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, তাঁদেরকে একেবারে গাছে বেঁধে মারবে এলাকায় বা ল্য়াম্প পোস্টে বেঁধে মারবে। তখন তারা বলে দেবে, সেই টাকা কোথায় গিয়েছে, কার কাছে গিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকুর সন্ধান পেয়েছি। এরকম আরও কাকু, পিসির সন্ধান পেতে থাকব। সেই ভয়েতেই যাঁরা অযোগ্য, তাঁদেরকে বলেছে, তোমাদের ব্যাপারটা আমি পরে দেখছি'।