অর্ণবাংশু নিয়োগী: বীরভূমে অবৈধ পাথর, তাও আবার আদিবাসীদের চাষের জমিতে! কীভাবে? জেলাশাসককে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি পার্থসারথি সেন বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, 'রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া এই ধরনের অবৈধ কাজ কোনভাবেই সম্ভব নয়'।
বীরভূমের মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য! বিপন্ন আদিবাসীরা। রামপুরহাটে তারাচুয়া মৌজায় বছরের পর বছর ধরে আদিবাসীদের চাষের জমিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও খাদানের ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ। ফলে আর্থিক ক্ষতিই নয়, ভূমিহীন হয়ে পড়ছেন অনেকেই। মামলায় দায়েক করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আজ, বুধবার মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি বিচারপতি পার্থসারথি সেনের এজলাসে।
শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরীর বলেন, কিছু ক্ষেত্রে জমির মালিকদের সঙ্গে যুক্ত হয়েই আদিবাসীদের জমি জোর করে কেড়ে নিচ্ছেন মাফিয়ারা। পুলিস প্রশাসনকেও জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। নিম্ন আদালতের জমির চরিত্র পরিবর্তন না করার নির্দেশিকা অমান্য় করেই চলছে পাথর উত্তোলন। l তাঁর আরও বক্তব্য, নির্দিষ্ট আইন মেনে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে পাথর খাদান এবং পাথর উত্তোলনের কাজ করতে হয়। আইন না মানলে শাস্তির ব্যবস্থা আছে। কিন্তু রাজ্যের ভূমি রাজস্ব দপ্তর ও ভূমি সংস্কার দফতরের একাংশের যোগসাজসে পাথর মাফিয়ারা রমরমিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিরাট অংকের ক্ষতির মুখে পড়ছে রাজ্য সরকার।
বিচারপতির প্রশ্ন, 'মাইনিং অ্যাক্ট না মেনেই কিভাবে ধরনের খাদানের কাজ করে চলেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা'? বীরভূমের জেলাশাসককে নির্দেশ, 'একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকে নিয়োগ করে তদন্ত করতে হবে।যদি এই ধরনের কোন কাজ রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই চলে তা অবিলম্বে বন্ধ করে দিতে হবে'।