ওদের পুলিশও চাকরিহারাদের উপর লাঠি চালিয়েছিল, ভিডিয়ো দেখালেন কুণাল
হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ এপ্রিল ২০২৫
তুমুল মার। লাঠি দিয়ে সপাটে মার। যে শিক্ষকরা স্কুলে পড়াতেন তাদের উপরই নেমে এল লাঠির মার। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন চাকরিহারানো শিক্ষকরা। তবে এবার বাংলার শিক্ষক পেটানো নিয়ে নানা সাফাই দিতে শুরু করেছেন তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব।
এবার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, 'মনে রাখুন: উত্তরপ্রদেশে ৬৯০০০ চাকরি হারানো শিক্ষকের উপর যোগী পুলিশের নির্মম লাঠি চার্জ ২০২১ সালে।
এখানে তা হয়নি। এখানে হামলা করানো হয়েছে। তারপর পুলিশ কিছু অ্যাকশন নিতে বাধ্য হয়েছে।'
পুলিশ বলেছিল, হালকা বলপ্রয়োগ।
কুণাল ঘোষ বললেন, কিছু অ্যাকশন।
এদিকে এই কিছু অ্যাকশনের জেরে শিক্ষকদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাগ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। একাধিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে পুলিশ একেবারে নির্বিচারে মারছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। সঙ্গে লাথিও রয়েছে। তার সঙ্গে ঘাড়ধাক্কা।
এদিকে কুণাল ঘোষ এই ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিয়োর সত্য়তা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
তবে এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে একজন লিখেছেন, উত্তরপ্রদেশের পুরোনো গল্প টেনে এনে নিজেদের চাকরি চুরির কালি ঢাকার ধান্দা তাই না? আপনারা তো লাখ লাখ যুবকের স্বপ্ন চুরি করে ফেললেন এখন পুলিশের পেছনে লুকিয়ে নাটক করছেন?
অপর একজন লিখেছেন, যখন কেউ নিজের করা কাজের স্বপক্ষে যুক্তি খুঁজে পান না সেকারণে একটা খারাপ দিয়ে আর একটা খারাপ কে জাস্টিফাই করেন।
একের পর এক মন্তব্য। তাতে নানারকম কটাক্ষ। কার্যত কুণাল ঘোষ এই ভিডিয়ো পোস্ট করার পর থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে নেটপাড়া।
এদিকে লাঠিপেটার জেরে ক্ষোভে ফুঁসছেন চাকরিহারারা। স্কুলে পড়াতেন যারা তারা এখন রাস্তায়। আন্দোলনের রাস্তায়। লাঠিপেটা খাচ্ছেন। তীব্র রোদে শুয়ে পড়ছেন রাস্তায়। কসবায় লাঠি পেটা। সেখান থেকে সোজা গড়িয়াহাটে চলে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন তারা। রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। তাঁদের দাবি পুলিশ নির্মমভাবে মারধর করেছে। লাথি মেরেছে।
কী জানাল পুলিশ?
পুলিশের অবশ্য দাবি, হালকা বলপ্রয়োগ করা হয়েছে।
এক্স হ্যান্ডেলে কলকাতা পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, 'আজ কসবা ডিআই অফিসের বাইরে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে যে, প্রথমে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা, বিনা উসকানিতে পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং হিংসাত্মক আচরণ করে, যার মধ্যে মহিলা পুলিশ কর্মীরাও ছিলেন।চারজন পুরুষ পুলিশকর্মী এবং দুইজন মহিলা পুলিশকর্মী আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আরও ক্ষয়ক্ষতি ও আহতের ঘটনা রোধ করতে পুলিশ বাধ্য হয়ে হালকা বলপ্রয়োগ করে।এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।'