• কলকাতায় হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম EV চার্জিং হাব, সেরা হবে ভারতের, কবে চালু?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য ভারতের বৃহত্তম চার্জিং হাব তৈরি হবে কলকাতায়। আর পুরো বিশ্বের নিরিখে সেটি দ্বিতীয় বৃহত্তম চার্জিং হাব হয়ে উঠবে বলে দাবি করেছেন 'ইজি উর্জা' সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশোক কাপুর। ওই সংস্থাই দক্ষিণ শহরতলির ঠাকরপুকুরে সেই চার্জিং হাব তৈরি করবে। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন যে ওই প্রকল্পের জন্য ৭.৫ কোটি টাকা মতো খরচ হবে। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুর্গাপুজোর আগেই চার্জিব হাবের উদ্বোধন হয়ে যাবে। আপাতত অগস্টের ডেডলাইন ধরে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেক কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

    সেই প্রকল্পের বিষয়ে ব্যাখ্যা 'ইজি উর্জা'-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ঠাকুরপুকুরে যে চার্জিং হাব তৈরি করা হবে, তাতে ৩০০টি চার্জার থাকবে। তার সুবাদে কোনও একটি জায়গায় থাকা চার্জিং হাবের নিরিখে সেটি বিশ্বের বৃহত্তম হবে। আর বৃহত্তম চার্জিং হাব আছে চিনে। তাতে ৬৫০টি চার্জার রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    আর সেই স্বপ্নের প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে ঠাকুরপুকুরে জমিও বেছে নেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেক কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ঠাকুরপুকুরে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা অ্যান্ড্রু ইউল অ্যান্ড কোম্পানির অব্যবহৃত জমি পড়ে আছে। প্রায় দুই একর জমিতে এখন আর কিছু করে না রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। সেই পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক চুক্তির মাধ্যমে ওই জমি পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই চার্জিং হাব গড়ে তোলা হবে।


    'ইজি উর্জা'-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ঠাকুরপুকুরের হাব যে চার্জার থাকবে, সেগুলি সংস্থার হিমাচল প্রদেশের কারখানায় তৈরি করা হবে। তারপর সেগুলি ব্যবহার করা হবে ঠাকরপুকুরের চার্জিং হাবে। সেখানে দ্রুত ও ঢিমেগতির চার্জার লাগানো হবে। যে সংখ্যক চার্জার থাকবে, তার মধ্যে ২০ শতাংশ দ্রুত চার্জ করতে পারবে। ঘণ্টায় ১২০ কিলোওয়াট পর্যন্ত চার্জিংয়ের বন্দোবস্ত থাকবে।


    সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ঠাকুরপুকুর হাবের স্টোরেজ ক্ষমতা হবে ছয় মেগাওয়াট। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে সোলার প্যানেল বসানো হবে। তাঁর কথায়, ‘মাইক্রোগ্রিড থেকে ৪০ শতাংশ লোড তৈরি করা যাবে বলে আশা করছি আমরা। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এবং ভরসাযোগ্য শক্তি জোগানোর উৎস হিসেবে সেই মাইক্রোগ্রিড তৈরি করা হচ্ছে।’


    আর ঠাকুরপুকুরের চার্জিং হাবের হাত ধরে ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকাঠামো আরও মজবুত হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 'ইজি উর্জা'-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, স্ন্যাপ-ই এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক গাড়ি বিশিষ্ট ক্যাব পরিষেবার ক্ষেত্রে চার্জিং হাব তৈরি করা হচ্ছে। যে চার্জিং হাব চালু হয়ে গেলে গুরুগ্রামকে টপকে ইতিহাস গড়বে কলকাতা। কারণ আপাতত গুরুগ্রামের হাবে ১৬০টি চার্জার আছে। কলকাতায় সেই সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)