নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: হবু নাবালিকা পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত শ্বশুরকে বেধড়ক মারধর করে পুলিসের হাতে তুলে দিল স্থানীয়রা। যদিও অভিযোগ কিছুতেই মানতে চায়নি অভিযুক্ত গোপাল মণ্ডল। মেডিক্যাল পরীক্ষা হলেই সব সত্য ধরা পড়বে বলে দাবি করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভক্তিনগর থানার সমরনগর বউবাজার এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা ছোট থাকতেই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। এরপর তার মা অন্য জায়গায় চলে যায়। গোপাল মণ্ডলের ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মেয়েটি। ১৮ বছর বয়স হলে তাঁর ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে বলে অভিযুক্ত কথা দেয়। যেহেতু নাবালিকা একা ওই এলাকাতে থাকত, তাই এক বছর ধরে অভিযুক্তের বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। ৩ এপ্রিল বাড়ির সকলে কাজে বেরিয়ে যাওয়ায় একাই ছিল নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সময় অভিযুক্ত গোপাল ভয় দেখিয়ে জোর করে নাবালিকাকে পরপর দু’বার ধর্ষণ করেন। কাউকে ঘটনার কথা বললে ছেলে, হবু শাশুড়ি সহ নাবালিকাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত।
ভয় পেয়ে কাউকে কিছু না বললেও রীতিমতো অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে মেয়েটি। মঙ্গলবার বিকেলে গোপাল মণ্ডলের ছেলে কাজ থেকে ফিরলে নাবালিকা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং ঘটনার কথা হবু স্বামীকে জানান। বিষয়টি জানতে পেরেই এলাকার বাসিন্দা তথা রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অঞ্জন দত্তকে জানান অভিযুক্তের ছেলে ও হবু বউমা। এরপরেই ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয়দের একাংশ। এরপরেই ভক্তিনগর থানাতে খবর দিলে পুলিস এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, আমরা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। বুধবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযুক্তের ছেলে বলেন,আমি ঘটনার কথা জানতে পেরে অবাক হয়ে যাই। আমার বাবা আমার হবু স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে পারে ভাবতেও পারছি না। বাবার কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অঞ্জনবাবু বলেন, আমার কাছে অভিযুক্তের ছেলে ও হবু বউমা এসে ঘটনা জানালে আমিও অবাক হয়েছি। পরে পুলিসকে ডেকে সবটা জানাই। যদি ওই বৃদ্ধ এমন দোষ করে থাকেন তবে কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। অভিযুক্তকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিস। - নিজস্ব চিত্র।