সংবাদদাতা, পতিরাম: সোমবার থেকে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম আরও ৫০ টাকা বেড়েছে। তারই মাঝে সিলিন্ডার থেকে গ্যাসের বদলে জল বের হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বালুরঘাটে। এমন অভিযোগ উঠতেই শহরের একটি গ্যাস সিলিন্ডারের অফিসে হানা দিল ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। দপ্তরের কর্তারা এদিন সরেজমিনে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এলেন।
গ্রাহকদের দাবি, অক্টোবর মাস থেকে বহু গ্রাহক সিলিন্ডারে জল পাচ্ছেন। অভিযোগ জানালেও সেই গ্যাস সিলিন্ডার পরিবর্তন করে দেওয়া হয় না। এদিন অভিযান চালাতেই আপাতত দুই উপভোক্তাকে জলভর্তি সিলিন্ডার পরিবর্তন করে নতুন সিলিন্ডার দেওয়া হয়। কিন্তু কেন সিলিন্ডারের মধ্যে জল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বালুরঘাট শহরের এই অফিসের কর্ণধার নীলাঙ্কন বর্মন বলেন, প্ল্যান্ট থেকেই এখানে গ্যাস আসে। আমরা শুধু বিতরণ করি। সিলিন্ডার নিয়ে কিছু অভিযোগ এসেছে। আমরা বিষয়টি জেলাশাসককেও জানিয়েছি।
অভিযোগের পরেও কেন দেরিতে জলভর্তি সিলিন্ডার পরিবর্তন করা হচ্ছে? উত্তরে নীলাঙ্কনের বক্তব্য, ওই সিলিন্ডার চেক করে সার্টিফায়েড হয়। তারপর পরিবর্ত সিলিন্ডার দেওয়া হয়। উপরমহলে দেরি হওয়ায় এখান থেকে দিতেও দেরি হচ্ছে। আজ আধিকারিকরা সিলিন্ডার পরিবর্তন করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তা করে দিয়েছি। উপভোক্তাদের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে তদন্তয শুরু করেছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। উপ সহ অধিকর্তা মনোজিৎ রাহা বলেন, আমাদের কাছে মাঝেমধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারে জল পাওয়ার অভিযোগ আসছে। কিন্তু সিলিন্ডার পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে না। জেলাশাসকের কাছেও এই অভিযোগ গিয়েছে। তাই আজ আমরা অভিযানে এলাম। যাঁরা জলভর্তি সিলিন্ডারের অভিযোগ জানাচ্ছেন, তাঁদের সিলিন্ডার পরিবর্তন করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
এদিন খাবারের দোকান ও ফলের দোকানেও অভিযান চালায় প্রশাসনের আধিকারিকরা। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, বালুরঘাটের একটি রেস্তরাঁয় খাবারের দাম ও মান নিয়ে অভিযোগ হয়েছিল কয়েকদিন আগে। সেখানে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর, খাদ্য সুরক্ষা, লিগাল মেট্রলজি এবং পুলিস একযোগে হানা দেয়। খাবারের দাম ও মান নিয়ে রেস্তরাঁর মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।
শহরের তহবাজারে ফলের দোকানগুলিতেও হানা দেন কর্তারা। অভিযানে গিয়ে আধিকারিকরা দেখেন, অনেক শুকনো ফলের প্যাকেটে লেবেল ও মেয়াদের তারিখ লেখা নেই। তাঁদেরও সতর্ক করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।