• দু’হাজারেরও বেশি সৌরবাতি কয়েক মাসের মধ্যেই বিকল
    বর্তমান | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কান্দি: ভরতপুর ১ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে দু’ হাজারের বেশি সৌরবাতি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। পঞ্চায়েতগুলি এবার বৈদ্যুতিক বাতির দিকে ঝুঁকছে।

    পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা বিধায়ক তহবিল বা সাংসদ তহবিলের টাকায় লাগানো হয়েছিল পরিবেশ বান্ধব সৌরবাতি। কোনওটি ৩৭ হাজার টাকা মূল্যের, আবার কোনওটির দাম কয়েক লক্ষ টাকা। সেইসব দামি সৌরবাতির অধিকাংশই অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। ব্লকের ভরতপুর, আলুগ্রাম, সিজগ্রাম, গড্ডা, গুন্দোরিয়া ইত্যাদি আটটি পঞ্চায়েতেই সৌরবাতি ছেয়ে গিয়েছিল। সংখ্যাটা কয়েক হাজার হতে পারে। কিন্তু কয়েকমাস যেতে না যেতেই সেগুলি অকেজো হয়ে পড়ে। গুন্দোরিয়া গ্রামের বাসিন্দা অভিমন্যু ঘোষ বলেন, গ্রামে সৌরবাতি লাগানোর পর মাসখানেক খুব ভালোভাবে জ্বলেছিল। কিন্তু আর জ্বলে না। পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কাজ হয়নি। এগুলি মেরামত করা হয় না। একই অবস্থা অন্যান্য পঞ্চায়েতেও। ভরতপুর বিডিও অফিস মোড়, নতুন রাস্তার মোড় থেকে বাস স্টপ চত্বরে একাধিক সৌরবাতি লাগানোর কয়েকমাস পর থেকেই অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। কোনওটির আবার ব্যাটারিও চুরি হয়ে গিয়েছে। বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। ভরতপুরের পাইকারি মুদি ব্যবসায়ী সৈয়দ ইরফান বলেন, সোলার ল্যাম্পগুলি মানুষের কোনও কাজেই লাগল না। এগুলি একবার খারাপ হলে আর সারানোই হয় না। সৌরবাতি লাগিয়ে কাদের লাভ হল তার তদন্ত হওয়া দরকার।

    এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতগুলি বৈদ্যুতিক বাতি লাগানোর দিকে ঝুঁকছেন। ভরতপুর পঞ্চায়েতের প্রধান অনিতা মণ্ডল জানিয়েছেন, সৌরবাতিগুলি মেরামত করার নির্দেশ বা তহবিল আমাদের কাছে নেই। আমরা বৈদ্যুতিক বাতি লাগানোর চেষ্টা করছি। স্থানীয় আলুগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জাহিরুল শেখ বলেন, সৌরবাতির দিকে আর আমরা হাঁটছি না। সম্প্রতি এলাকায় প্রায় ২১০টি বিদ্যুৎবাতি লাগানোর কাজ চলছে। গ্রাম কমিটির মাধ্যমে এগুলির রক্ষণাবেক্ষণ হবে। এ বিষয়ে ভরতপুর ১ বিডিও দাওয়া শেরপা বলেন, সৌরবাতিগুলি অকেজো হওয়ার পর এগুলির মেরামতির দায়ভার কাদের তা খোঁজ নেওয়া হবে। তবে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে যেগুলি করা হয়েছে, সেগুলি মেরামত করা হবে। বাকিদের ক্ষেত্রে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
  • Link to this news (বর্তমান)