• রামপুরহাট শহরে রাস্তার ধারে মজুত ইমারতি সামগ্রী, বাড়ছে পথ দুর্ঘটনা
    বর্তমান | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: বাড়ির নির্মাণকাজ চলছে। লরিবোঝাই হয়ে ইট, বালি, পাথর এনে সামনের রাস্তায় রাখা হচ্ছে। পাড়ার ভিতরে কিংবা শহরের প্রধান রাস্তা। স্তূপাকারে বালি, পাথর মজুত করে রাখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ থেকে শাসকদলের জনপ্রতিনিধি, নিয়ম মানার বালাই নেই। রামপুরহাটজুড়ে সর্বত্র একই চিত্র। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই পথ চলতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। অথচ পুরসভা নির্বিকার। 

    রামপুরহাটে শহরের ভিতরেই জনবহুল রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে ইমারতি সামগ্রী রাখা হচ্ছে। এনিয়ে ক্ষোভও বাড়ছে এলাকাবাসীর মধ্যে। এমনিতেই শহরের রাস্তাগুলি সংকীর্ণ। তার উপর ইমারতি সামগ্রী জমে থাকার কারণে আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। পথচারীরাদের যাতায়াতের রাস্তা থাকছে না। তাঁর উপরে মাত্রাছাড়া টোটোর উৎপাত। সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। রাস্তার উপর দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড় করানো থাকছে সাইকেল ও বাইক। নিরাপদে পথ চলার উপায় নেই। শহরের বাসিন্দারা বলেন, রাস্তার উপর ইমারতি সামগ্রী ফেলে রাখার কারণে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। যার ফলে যানজটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনদিন টোটোর সংখ্যা বেড়ে চলায় সমস্যা বাড়ছে। পুরসভার পক্ষ থেকে প্রায়শই রাস্তা দখল করে ইমারতি সামগ্রী মজুত করে রাখলে বাজেয়াপ্ত করার হুঁশিয়ারির কথা ফলাও করে মাইকিং করা হয়। তা সত্ত্বেও শহরের এমএনকে রোডের ধারে খোদ পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রিয়নাথ সাউয়ের বাড়ির সামনে দিনকয়েক ধরে রাস্তার উপর বালি, পাথর ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই নির্মাণসামগ্রী প্রিয়নাথবাবুর বলে জানা গিয়েছে। শাসকদলের জনপ্রতিনিধি হওয়ায় কেউ প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস না দেখালেও রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁরা বলছেন, খোদ জনপ্রতিনিধিরাই নিয়ম ভাঙছেন। সেকারণে নিয়ম না মানার প্রবণতা দিনদিন বেড়েই চলবে। প্রিয়নাথবাবু বলেন, আমার নিজেরও খারাপ লাগছে। রাস্তার এক পাশেই মজুত করা হয়েছিল। কিন্তু কুকুরে বালি নামিয়ে দিচ্ছে। তার উপরে ঈদের জন্য শ্রমিক পাচ্ছি না। দ্রুত সরিয়ে নেব। 

    স্থানীয়দের একাংশ বলছেন, ব্যস্ততম রাস্তার উপর ইমারতি সামগ্রী ফেলে রাখায় মরণফাঁদের সৃষ্টি হয়েছে। বাইক চালানোই বিভীষিকা। যে কোনও মুহূর্তে পিছলে যেতে পারে চাকা। প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। কারণ, রাস্তার ধারে দিনের পর দিন ইমারতি সামগ্রী মজুত আইনবিরুদ্ধ। চেয়ারম্যান বলেন, বুধবার থেকেই মাইকিং করে ইমারতি সামগ্রী তিনদিনের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হবে। তারপরও না শুনলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তায় দলেরই কাউন্সিলারের বালি ও পাথর মজুত থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখছি।
  • Link to this news (বর্তমান)