নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রাম শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইকোপার্কের উদ্বোধন হতে চলেছে। বনমন্ত্রীর উদ্যোগে পার্কটিকে ঢেলে সাজার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গাছগাছালি ও জলাশয়ে ভরা পার্কটিকে পর্যটনস্থল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইকোপার্কটি দ্রত চালু করা হবে। তার প্রস্তুতি চলছে। আমরা আশাবাদী জেলার পর্যটন স্থলগুলির মধ্যে এই পার্ক জায়গা করে নেবে। ২০২১ সালে ঝাড়গ্রাম শহরের উত্তরপ্রান্তে সাত একর জায়গাজুড়ে পার্কটি গড়ে তোলা শুরু হয়েছিল। করোনা পর্বে মাঝপথে সে কাজ থমকে যায়। অর্ধসমাপ্ত পার্কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল পড়েছিল। পাঁচিল দিয়ে ঘেরা পার্কটি একসময়ে ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছিল। রাত হলেই পার্কটি দুষ্কৃতীদের আড্ডায় পরিণত হতো। স্থানীয় বাসিন্দাদের যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। পুরসভা বিষয়টি নিয়ে জেলার বনবিভাগকে উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। ইকোপার্কটি চালু হলে জেলার পর্যটন মানচিত্রে আরও একটি জায়গা যুক্ত হবে। পর্যটনস্থল ঘিরে এলাকার মানুষের রোজগারের সুযোগ বাড়বে। পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীর পাল বলেন, করানোর সময়ে ইকোপার্ক গড়ে তোলার কাজ থেমে যায়। পার্কটি দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়েছিল। তবে পার্কের সংস্কার শুরু হয়েছে। জলাশয়টিকে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। পর্যটকরা শহরের ভিতর ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি, প্রাচীন সাবিত্রী মন্দির জুলজিক্যাল পার্ক ঘুরতে যান। ইকোপার্ক হলে এখানেও পর্যটকরা আসবেন। এলাকার আর্থিক উন্নতি হবে। মন্ত্রী ও বনবিভাগের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের এক আধিকারিক বলেন, শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইকোপার্কের সংস্কার শুরু হয়েছে। পার্কের জগিং ট্র্যাক, বসার জায়গা ও ছোটদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। ফুলের গাছ লাগানো হবে। ধাপে ধাপে কাজগুলি হবে। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিক্ষক বিল্লু দত্ত বলেন, ইকোপার্কটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল। পার্কটি কেন চালু হচ্ছে না সেটা বুঝতে পারছিলাম না। ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছিল। শুনছি সেটি চালু হবে। অপর এক বাসিন্দা বলেন, রাত হলেই পার্কে অসামাজিক কাজকর্ম হতো। স্থানীয় কাউন্সিলারকে বিষয়টি জানানোও হয়েছিল। পার্কটি চালু হলে এলাকার চিত্র অনেকটাই বদলে যাবে। ঝাড়গ্রাম হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, পর্যটকদের একটা বড় অংশ জেলা শহরের দ্রস্টব্যস্থানগুলি ঘুরে দেখেন। ইকোপার্ক ঘিরে হোটেল, লজ, হোম স্টে গড়ে উঠবে। যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। আমরা এখন ইকোপার্ক চালু হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছি। ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, এপ্রিল মাসেই ইকোপার্কটির উদ্বোধন হবে। সংস্কারের যেসব কাজ বাকি আছে সেগুলো ধীরে করা হবে।