• ইসিএলে চাকরির টোপ, ২০ লক্ষ টাকা প্রতারণা, অভিযুক্ত ধানবাদের দুই মহিলা
    বর্তমান | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: ইসিএলে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ২০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল ধানবাদের দুই মহিলার বিরূদ্ধে। সোনামুখী শহরের এক যুবক কেন্দ্রীয় সরকারের মোটা মাইনের চাকরির লোভে বেসরকারি সংস্থার চাকরি ছেড়ে ধারধোর করে ওই টাকা দিয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় বাদেও চাকরি না হওয়ায় প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে পুলিসের দ্বারস্থ হন। পুলিস জানিয়েছে, ওই যুবক তাঁরই এক আত্মীয়ার মাধ্যমে এই প্রতারক চক্রের পাল্লায় পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত চলছে। 

    প্রতারিত ওই যুবক বলেন, আমি গত কয়েক বছর ধরে গুজরাত, হাওড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেছি। এক আত্মীয়ার মাধ্যমে ধানবাদের এক মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। দু’জনে মিলে ধানবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের মোটা মাইনের চাকরি করিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে ধাপে ধাপে মোট ২০ লক্ষ ২৪ হাজার ৪০০ টাকা নেয় আমার থেকে। কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও চাকরি না হওয়ায় নানা অজুহাত দেখায়। পরে টাকা ফেরত চাইতে ধানবাদে গেলে চূড়ান্ত অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ফের টাকা চাইতে গেলে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। প্রতারকদের শাস্তির দাবিতে এবং টাকার ফেরত পাওয়ার আশায় শেষ পর্যন্ত পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছি। 

    তিনি আরও বলেন, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ও আত্মীয়স্বজনদের থেকে ধার করে ওই প্রতারকদের দাবি মতো সমস্ত টাকা ধাপে ধাপে ওদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। ২০২৪ সালের জুন থেকে আগস্ট, এই তিন মাসের মধ্যে দাবি মতো সমস্ত টাকা মিটিয়েছি। কিন্তু তারপর এতদিন কেটে গেলেও চাকরি হয়নি। তাই টাকা ফেরত চাই যাই ধানবাদে। কিন্তু টাকা দেওয়া তো দূরের কথা, উল্টে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বলে, টাকা ফেরত দেব না, যা পারিস করে নিবি। এই ঘটনায় আমি চূড়ান্ত হতাশ হয়ে পড়ি। সরকারি চাকরির প্রলোভনে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছি। আমার বয়স্ক মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ব্যাঙ্কের ঋণ ও আত্মীয়দের কাছ থেকে নেওয়া টাকা কীভাবে শোধ করব তার উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। তাই পুলিসের কাছে প্রতারকদের চরম শাস্তির আর্জি জানিয়েছি।  
  • Link to this news (বর্তমান)