বাদুড়িয়ার স্কুলে চালু বৈদ্যুতিন হাজিরা, বার্তা পৌঁছবে অভিভাবকদের মোবাইলে
বর্তমান | ১০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, বসিরহাট: বাদুড়িয়ার ২০০ বছরের পুরনো এলএমএস হাই স্কুলে চালু হলো আধুনিক ‘ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স’ বা বৈদ্যুতিন হাজিরা। এই স্কুলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১৭ শো ছাত্র পড়াশোনা করে। রোজ ক্লাস শুরুর আগে শ্রেণিকক্ষে রোল কল করতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়। এছাড়া সাত জন শিক্ষক স্কুল থেকে চলে যাওয়ায় আলাদা করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে অনেকটা সময় বাঁচানো যাবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। তা ছাড়া এই মেশিনের মাধ্যমে পড়ুয়ারা কখন স্কুলে আসছে বা বেরচ্ছে, সেই বার্তাও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে যাবে অভিভাবকদের মোবাইলে। রোজ স্কুলে মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য ছাত্রদের উপস্থিতির হিসেব করতে হয়। সেই সমস্যাও আর থাকবে না স্কুলে।
প্রধান শিক্ষক আসাদুর রহমান বলেন, দু’টি মেশিন বসানো হয়ে গিয়েছে। সব ছাত্র এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখের ছবি আপলোড করা হয়েছে। তাঁরা স্কুলে ঢুকে মেশিনের সামনে দাঁড়ালেই কম্পিউটারে সমস্ত তথ্য ভেসে উঠবে। যিনি ঢুকলেন তাঁর নাম, মোবাইল নম্বরের তথ্য থাকবে সেখানে। একজন শিক্ষার্থী বলে, আগে আমাদের ছুটি হলে শিক্ষকরা বাড়িতে ফোন করতেন। বাড়ি থেকে কোনও অভিভাবক আসার পর আমাদের ছাড়া হতো। কিন্তু এই পদ্ধতি চালু হওয়ায় অভিভাবকের ফোনে বার্তা চলে যাচ্ছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারছেন, আমি স্কুলে আছে কি না এবং কখন ছুটি হচ্ছে। এটা খুব ভালো পদ্ধতি।
এই বিষয়ে এক অভিভাবক রমজান গাজি বলেন, আজকাল ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া-আসা নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়। সে ঠিক স্কুলে পৌঁছল কি না, বা বাড়ি ফিরল কি না- এই নিয়ে চিন্তায় থাকি। ‘ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স’ চালু হওয়ায় আমরা মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারছি, ছেলেমেয়েরা কখন স্কুলে পৌঁছল বা স্কুল থেকে বেরল। এই পদ্ধতির খুব দরকার ছিল। -নিজস্ব চিত্র