নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বারাসত শহরে আবর্জনার সমস্যা দীর্ঘদিনের। সেই সমস্যা থেকে ছাড় পাচ্ছে না জেলাশাসকের অফিসের এলাকাও। জেলাশাসকের অফিস লাগোয়া এক পুকুরে দেদারে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। ফলে দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের আশঙ্কা, এর পিছনে পুকুরটি ভরাটের ছক নেই তো?
বারাসত পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত বনমালীপুর। এখানেই অবস্থিত জেলাশাসকের কার্যালয় সহ বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। এলাকার মূল সড়কের পাশে রয়েছে একটি আট কাঠার উপর পুকুর, যার মালিক চারজন। দীর্ঘদিন ধরে পুকুরটিতে আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল। তা রুখতে তৎপর হন স্থানীয় কাউন্সিলার স্বপ্না বসু। তিনি পুরসভার মাধ্যমে এই পুকুরে ফেলা আবর্জনা সরিয়ে দেন। কিন্তু এর কিছুদিন পর আবার পুরনো কায়দায় আবর্জনা ফেলা শুরু হয় বলে অভিযোগ। ধীরে ধীরে পুকুরের একটি বড় অংশ নোংরা আবর্জনা দিয়ে ভরাট করা হয়ে গিয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীদের। তা থেকে দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে। এছাড়া মশা ও মাছির আতুরঘরে পরিণত হয়েছে পুকুরটি।
স্থানীয় বাসিন্দা অপু সরকার বলেন, যেভাবে এখানে বাইরে থেকে আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে, তাতে দুর্গন্ধে থাকা যাচ্ছে না। কাউন্সিলার এনিয়ে একাধিকবার তৎপর হয়েছেন। কিন্তু স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা পুকুরের মালিককেও এনিয়ে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁর কোনও হেলদোল নেই। যেভাবে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে তাতে পুকুরটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা এক বধূ রিতা পারুই বললেন, এই পুকুরের পাশেই আমাদের বাড়ি। বসবাস করা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলার স্বপ্না বসু বলেন, পুকুরের এক মালিককে আমরা এ নিয়ে বারে বারে বলেছি। কিন্তু কোনও কর্ণপাত করছেন না। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে বেশ কয়েকবার পুকুরটিকে পরিষ্কার করারও ব্যবস্থা করি। কিন্তু তারপর ফের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যেহেতু এটা ব্যক্তিগত সম্পত্তি, তাই মালিকদের এনিয়ে নজর দেওয়া উচিত। এনিয়ে পুকুরের এক মালিক শঙ্কর সাহা বলেন, আমি ছাড়া আরও তিনজন পুকুরের মালিক রয়েছেন। আমি আগে বেশ কয়েকবার পুকুরটি পরিষ্কার করেছি। তবে, ফের আবর্জনা সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করব। নিজস্ব চিত্র