• নারকেলডাঙ্গা কাণ্ড: বিজেপি কর্মী খুনে চার বছর পর সিবিআই পাকড়াও করল পলাতক অভিযুক্তকে
    বর্তমান | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নারকেলডাঙ্গায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলায় দীর্ঘ চার বছর পর আট পলাতকের মধ্যে এক অভিযুক্ত সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়ল। নারকেলডাঙা থানার জয়নারায়ণ তর্ক লেনের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম অমিত দাস ওরফে নারু। মঙ্গলবার রাতে কেষ্টপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাতক অমিত এক সংস্থার হয়ে খাবার ডেলিভারির কাজ করছিলেন। কেষ্টপুর থেকে নিউটাউন পর্যন্ত ছিল তার কর্মক্ষেত্র। সোর্স মারফৎ সে খবর জানতে পেরে অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়। এই হত্যা মামলায় এখনও সাতজন ‘পলাতক’ রয়েছে। আদালত ইতিমধ্যেই প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই খুনের মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করতে পারল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারর বিশেষ অপরাধ দমন শাখা এই মামলায় ফেরার ব্যক্তিদের সন্ধান দিলে মাথা পিছু ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করেছিল। ধৃত অমিত দাসকে বুধবার কলকাতার বিচারভবনের বিশেষ আদালতের বিচারক রোহন সিনহার এজলাসে হাজির করা হয়। বিচারক তাকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সিবিআইয়ের তরফে ধৃতকে জেলে গিয়ে জেরা করার আর্জি জানানো হয়। বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন দুপুরে নারকেলডাঙা থানা এলাকার শীতলাতলা লেনে অভিযুক্ত যুবকের বাড়ির সামনে বোমাবাজি শুরু হয়। অভিযোগ, ওই সময় স্থানীয় একটি পার্টি অফিসে বসে টিভিতে ভোটের ফল দেখছিলেন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই সময় একদল যুবক পার্টি অফিস ভাঙচুর চালায়, ব্যাপক মারধর করে অভিজিৎকে। পার্টি অফিস থেকে কোনওভাবে পালিয়ে এসে সে বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অভিযোগ, সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়। 

    ওই ঘটনায় মৃত যুবকের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার নারকেলডাঙা থানায় পুলিসে অভিযোগ জানান। কিন্তু কলকাতা পুলিসের তদন্তে খুশি না হওয়ায়, মৃত যুবকের পরিবার কলকাতা হাইকোর্টে যায়। উচ্চ আদালত  এই খুনের মামলা তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেয়। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শেষ করে এই মামলায় আটজনকে ফেরার দেখিয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। সম্প্রতি মামলাটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে শিয়ালদহ থেকে স্থানান্তরিত হয়ে আসে কলকাতার বিচারভবনে। মৃত যুবকের পরিবারের আইনজীবী শুভেন্দু সাহা বলেন,‘বর্তমানে এই মামলায় সাক্ষ্য চলছে অভিজিৎ সরকারের মায়ের। তিনি মামলার প্রথম সাক্ষী। অসুস্থ থাকায় তাঁর সাক্ষ্য অসমাপ্ত রয়েছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)