এই সময়: বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা–সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ–দুর্নীতির ইস্যুতে যখন উত্তপ্ত রাজ্য, তখন বাম আমলে একটি ক্ষেত্রে নিয়োগ–দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করলেন দমদমের এক বাসিন্দা। এ ক্ষেত্রে মামলাকারী বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন বিবাহ–বিচ্ছেদের মামলা চলা স্ত্রীর বিরুদ্ধে এবং আরও কয়েক জনের নামে। তাঁর অভিযোগ, অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও অন্য কয়েক জন। আর সেই চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে দুই বাম নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তদন্ত শুরুর দাবি করা হয়েছে মামলায়।
২০০৬ সালের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে মামলায়। মামলাকারীর দাবি, ২০০৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিক পাশ ব্যক্তিরা এই কাজের যোগ্য বলে বিবেচিত হতেন। যাঁরা যে কোনও বিষয়ে স্নাতক হয়েছেন বা তার থেকে বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, তাঁরা এই কাজের যোগ্য নন বলে স্থির করেছিল সরকার। কিন্তু মামলাকারীর দাবি, তাঁর স্ত্রী স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রি নিয়েও এই চাকরির জন্যে আবেদন করেছিলেন।
আবেদন করার পর তাঁর স্ত্রী এবং আরও কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী প্রথমে সিপিএমের এক শীর্ষ নেতার দ্বারস্থ হন। তিনি তাঁদের আরএসপির উত্তরবঙ্গের এক মন্ত্রীর কাছে পাঠান। দুই নেতার সাহায্যে তাঁরা চাকরি পান। তাঁরা সবাই সিপিএম–সমর্থক পরিবারের সদস্য। মামলাকারীর দাবি, তাঁর স্ত্রী বর্তমানে বারাসতে কর্মরত।
তাঁর অভিযোগ, ২০১৮, ২০২২ এবং ২০২৫ সালে পুলিশ–সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই এ বার হাইকোর্টে মামলা করে অবিলম্বে এফআইআর রুজু এবং সিআইডিকে দিয়ে তদন্ত করানোর আবেদন করা হয়েছে। স্ত্রীর চাকরি নিয়ে এমন অভিযোগ অভিনবই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।