• এ সপ্তাহেই চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী! মুখ্যসচিব বললেন, ‘সংযত থাকুন, রিভিউ পিটিশন করছি’
    আনন্দবাজার | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • কসবায় স্কুল পরিদর্শকের দফতরের সামনের ঘটনার পর চাকরিহারাদের ‘ধৈর্য’ ধরার আবেদন করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁদের ‘সংযত’ হতে বললেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।’’ রাজ্য সরকার মানবিক ভাবে চাকরিহারাদের পাশে রয়েছে জানিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি।’’

    ব্রাত্যও জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে চাকরিহারাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। অন্তত ওই বৈঠক পর্যন্ত তাঁদের ধৈর্য ধরা উচিত বলে মনে করেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘এক দিকে বৈঠক, অন্য দিকে ধ্বংসাত্মক আন্দোলন, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না।’’

    বুধবার কসবায় স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তিও হয়। সেই সময়েই পুলিশের বিরুদ্ধে চাকরিহারা বিক্ষোভকারীদের লাথি মারা, গলাধাক্কা এবং লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনা নিয়ে বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম।

    গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভরসা দিয়েছিলেন। আমরা চাকরিহারাদের পাশে আছি। আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করছি। তা সত্ত্বেও কারও প্ররোচনায় বা উস্কানিতে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। এটা বাঞ্ছনীয় নয়।’’ চাকরিহারা শিক্ষকদের বার্তা দিয়ে পন্থ জানান, তারা শীঘ্রই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবেন শীর্ষ আদালতে। মুখ্যসচিবের কথায়, ‘‘আমরা একটা পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে ফাইল করেছি। যেখানে আমরা বলেছি, সকলে যেন কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। আমরা রিভিউ পিটিশনের জন্যেও যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আইনি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা আবার আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা ওদের (চাকরিহারাদের) পাশে আছি। এমন কিছু করবেন না যাতে, শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হয়।’’

    সরকার চাকরিহারাদের পাশে রয়েছে জানিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘শিক্ষক-শিক্ষিকার সমাজে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আমরা ওঁদের শ্রদ্ধা করি। আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। তার অপেক্ষায় রয়েছি। কাউকে টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মাথায় রেখেই আমাদের এগোতে হচ্ছে। আমরা যেন কারও উস্কানিতে পা না দিই। আইন হাতে নেওয়া উচিত নয় কোনও ভাবেই।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)