পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার পথে নামছেন চাকরিহারারা। বুধবার কসবায় ডিআই অফিসের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। চাকরিহারাদের উপর পুলিশ নির্বিচারে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিলের ডাক দিয়েছে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ। শুধুমাত্র চাকরিহারারাই নন, এই মিছিলে পা মেলাতে আহ্বান জানানো হয়েছে শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, ডাক্তার, স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদেরও।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এক লপ্তে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর। তারই প্রতিবাদে নেমে কসবায় ডিআই অফিস চত্বরে পুলিশের মার জোটে চাকরিহারাদের। প্রশ্ন ওঠে, নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের উপর কেন পুলিশ লাঠিচার্জ করল? পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে ওঠে, কলকাতার পুলিশ সুপার মনোজ ভার্মাকে নবান্নে বসে বলতে হয়, ‘অন রেকর্ড বলছি, এটা ঠিক হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু ওই ঘটনার আগে-পরের সব ফুটেজ দেখা হচ্ছে।’
এ দিকে এই ঘটনার জেরে বুধবার রাতভর চাকরিহারাদের একটা অংশ এসএসসি ভবনের সামনে রাত জাগেন। তাঁরা স্পষ্ট বার্তা দেন, পথই পথ দেখাবে। পথে বসেই অধিকার বুঝে নেবেন তাঁরা। এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থানরত চাকরিহারাদের বক্তব্য, যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা এসএসসিকে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, এসএসসি এখানে রেকমেন্ডিং বডি। একইসঙ্গে তাঁরা জানান, শিক্ষকদের গায়ে হাত পড়েছে। যেখানে যা প্রতিবাদ হবে, সে প্রতিবাদ সকলের প্রতিবাদ।
এ দিনের মহা মিছিলের পর শুক্রবার এসএসসি ভবন অভিযান রয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। সেখান থেকেই ব্রাত্য বসুর ডাকা বিকাশ ভবনের বৈঠকে যাবেন তাঁরা।