চাকরি বাতিল ইস্যুতে সরগরম রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ২৬ হাজার এসএসসি শিক্ষক, শিক্ষিকা ও স্কুল কর্মচারীদের চাকরি বাতিল। তারই মধ্যে সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জয়েন্ট বিডিও-র নাম করে পঞ্চায়েতে নিয়োগের ভুয়ো ফোন।
জানা গিয়েছে, গাজোলের জয়েন্ট বিডিও নাম করে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে ফোন করে বলা হয়, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে দুটি করে কর্মী নিয়োগ করা হবে। সেই বিষয়ে আগ্রহী আবেদনকারীদের সঙ্গে আলাদা করে বসতে হবে। এই ফোনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে রহস্য। ঘটনা জানতে পেয়ে নিজেই হতভম্ব জয়েন্ট বিডিও। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান গাজোল থানায় ভুয়ো ফোন কল নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গাজোল ব্লকের উপপ্রধান ও প্রধানকে ফোন করে জানানো হয় যে, ‘আমি বিডিও অফিস থেকে যুগ্ম বিডিও বলছি। গাজোল ব্লকের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অফিসে দুইজন করে কর্মীকে নিযুক্ত করা হবে একটি কৃষি বিষয়ক আর অন্যটি কম্পিউটার বিষয়ে। দুইজন করে কর্মী নিয়োগ হবে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে।’
এই বিষয়ে গাজোল এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রদ্যুৎনারায়ণ সর্দারের কাছে ফোন যায়। একইভাবে গাজোল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অর্মিলা রাজবংশীর কাছেও ফোন যায়। এই ফোন পেয়ে গাজোল এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও গাজোল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দু’জনেই ঘোটালার গন্ধ পান। বুঝতে পারেন বিষয়টি আসলে ভুয়ো। তাদের অনুমান, এটা কোনও বিরোধী দলের চক্রান্ত এবং পাশাপাশি হয়তো তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। তৎক্ষণাৎ থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা।
পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। গাজোল ব্লকের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস জানান, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে জয়েন্ট বিডিও-র নম্বর জনপরিষেবার জন্য অনেকের কাছেই থাকে। সেই নাম্বারটা ব্যবহার করে যদি কেউ ফোন করে তাহলে খুব চিন্তার বিষয়। আমরা এ বিষয়ে পুলিশকে বলেছি সঠিক তদন্ত করুক এবং পাশাপাশি আর যদি কাউকে এইভাবে ফোন পায়, তাহলে তারাও যাতে সচেতন থাকে। নাম্বারটা তো সবার কাছে থাকে।’ আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক জল্পনাl গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন বক্তব্য, ‘এটা বিজেপির চক্রান্ত সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে ইতিমধ্যেই গাজোল থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।’