মনিরুল হক, কোচবিহার: কৃষি নিয়ে গবেষণা করতে করতেই ইসরোতে সুযোগ পেলেন দিনহাটার মেয়ে ময়ূরাক্ষী চন্দ। তাঁর এই সাফল্যে ফের একবার নাম উজ্জ্বল হল দিনহাটা তথা কোচবিহারের।
কোচবিহার জেলায় প্রথম কোনও মেয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-তে কাজের সুযোগ পেলেন। এর আগে অজানা নক্ষত্রপুঞ্জের সন্ধান করে ভাটনগর পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী কনক সাহার হাত ধরে কোচবিহারের দিনহাটার নাম উজ্জ্বল হয়েছিল। এবার সেই তালিকায় নতুন পালক জুড়লেন দিনহাটা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ময়ূরাক্ষী। সারা দেশে চারজনের মধ্যে ময়ূরাক্ষীকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো বিজ্ঞানী হিসেবে নিযুক্ত করেছে।
এই খবর জানার পর ময়ূরাক্ষীর বাড়িতে খুশির হাওয়া। জানা গেছে, ময়ূরাক্ষী ২০১৪ সালে দিনহাটা গার্লস হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন। ২০১৬ সালে দিনহাটা সোনিদেবী জৈন হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে মাটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানেই গবেষণা করছেন তিনি।
এরই মাঝে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ইসরোয় আবেদন করেন ময়ূরাক্ষী। লিখিত পরীক্ষায় উওীর্ণ হলে সারা দেশ থেকে বাছাই করা ২০ জনের মৌখিক পরীক্ষা হয়। ফলাফল জানানো হয় ৮ এপ্রিল। সেখানেই ময়ূরাক্ষীকে ইসরোর বিজ্ঞানী হিসেবে নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে।
ময়ূরাক্ষীর এই সফলতায় খুশির হওয়া দিনহাটা পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ বাড়িতে। ময়ূরাক্ষীর বাবা প্রদীপ চন্দ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মা বুলবুল দেব একজন নার্স। তাঁদের বক্তব্য, পড়াশোনায় বরাবরই ভাল ছিলেন ময়ূরাক্ষী। পড়াশোনার জন্য কোন চাপ দিতে হত না। ইসরোর মত একটি প্রতিষ্ঠানে মেয়ে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করবে এটা সত্যিই আনন্দের এবং গর্বের।
এবিষয়ে দিল্লি থেকে ময়ূরাক্ষী বলেন, "বর্তমানে নয়াদিল্লি ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে থেকে গবেষণা করছি। এরই মাঝে এই সুযোগ বড় পাওনা। ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারে বিজ্ঞানী হিসেবে সুযোগ পেয়েছি। এর জন্য পরিবারের অবদান সবচেয়ে বেশি।"