• এখনও কারা সক্রিয় নন?‌ বিধায়ক–সাংসদ–মন্ত্রীদের উপর কড়া নজর রাখবে তৃণমূল কংগ্রেস
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • বাংলার বুকে কোনও একটা ঘটনা ঘটলেই সেটাকে বিরোধীরা ইস্যু করে ফায়দা তুলতে চাইছে। তা নিয়ে রাস্তায় নেমে যেমন উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে তেমন সেটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে। বিজেপি–সিপিএম–কংগ্রেস এই আক্রমণ রোজ করে যাচ্ছে। তাতে সমাজের একটা অংশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক–সাংসদ–মন্ত্রীদের একটা অংশ পাল্টা প্রতিবাদে না গিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এই নিয়ে দু’‌দিন আগেই নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দল ওই একাংশ নীরবদের তালিকা তৈরি করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।

    এদিকে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিলের ঘটনা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এখন এমন অবস্থা হয়েছে। তার ফলে বাংলাজুড়ে বিক্ষোভ, আন্দোলনে নেমে পড়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের পিছনে ইন্ধন দিচ্ছেন রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রীরা বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের কথা বললেও সেটা না করার জন্য জোরদার সওয়াল করে যাচ্ছেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। উল্টো দিকে বেতন পোর্টাল খুলে রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ নিল চাকরিহারাদের। তারপরও দলের একাংশ বিধায়ক, সাংসদ এবং মন্ত্রীরা বিরোধীদের পাল্টা জবাব না দিয়ে নিশ্চুপ রয়েছেন।


    অন্যদিকে বিরোধীদের সমালোচনার বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি বলে সূত্রের খবর। সেখানে তৃণমূল ভবন সূত্রে খবর, অনেকেই বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে সক্রিয় নন। তাই এবার থেকে তাঁদের উপর কড়া নজর রাখা হবে। মনিটরিং করা হবে কোন কোন বিধায়ক–সাংসদ–মন্ত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের বার্তা তুলে ধরছেন না। যাঁদের ক্ষেত্রে ‘নিষ্ক্রিয় আচরণ’ দেখা যাবে তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা তুলে ধরতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের তিনটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপ সাংসদের নিয়ে গঠিত। দ্বিতীয়টি বিধায়কের নিয়ে গড়া। আর তৃতীয় গ্রুপ ‘এআইটিসি স্পেশাল’ নামে। এই তৃতীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি তৃণমূল ভবন থেকে মনিটরিং করা হয়। এই গ্রুপে আছে দলের জনপ্রতিনিধি এবং সাংগঠনিক নেতাদের উপস্থিতি। ওই গ্রুপে দলের কর্মসূচি, ইস্যুভিত্তিক বক্তব্য, নির্দেশিকা মেলে ধরা হয়। এই বক্তব্যগুলিই সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা নেতা–নেত্রীদের। ফেসবুক এবং এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধীরা নানা ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করছে। তারই জবাব তথ্য–সহ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবার তৃণমূল ভবন থেকে। এই বিষযে তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‌এখন সোশ্যাল মিডিয়া অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তাই এই পরিসর সম্পর্কে সকলকেই জ্ঞাত থাকতে হবে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)