কেন্দ্রীয় সরকার কেন রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প (মহাত্মা গান্ধী রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম) বন্ধ রেখেছে, তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই মন্ত্রককে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধের অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক বার সুর চড়িয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় এ নিয়ে সরব হয়েছেন একাধিক বার। এ বার এই টাকা বন্ধের কারণ কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, কেন রাজ্যে এমনটা হচ্ছে, হস্তক্ষেপ করুক হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার।
এর আগে গত ২০ মার্চ নোডাল অফিসার কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানান, হাইকোর্ট নিযুক্ত চার সদস্যের কমিটি বিভিন্ন সময় রাজ্যের চার জেলা পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদা এবং দার্জিলিং জিটিএ এরিয়া পরিদর্শন করে। ১০০ দিনের কাজের টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। এই অর্থ প্রকৃত প্রাপকদের দ্রুত বণ্টনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানান, মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রে গোলমাল হয়েছে। তার মধ্যে ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকার মতো পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে এবং তা রাজ্যই উদ্ধার করেছে। এ দিন আদালত জানায়, কেন ১০০ দিনের প্রকল্প বন্ধ, আগামী ১৫ মের-মধ্যে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে রিপোর্ট দিয়ে তা আদালতকে জানাতে হবে।