• কথা রাখলেন বিরবাহা, বাস পাঠিয়ে জ়ু-দর্শন পড়ুয়াদের
    এই সময় | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • বুদ্ধদেব বেরা, ঝাড়গ্রাম

    বনমন্ত্রীর পাশে বসে মিড–ডে মিল খেতে খেতে ছোট্ট পড়ুয়ারা আবদার করেছিল চিড়িয়াখানা দেখার। তখনই তাঁদের ইচ্ছে পূরণের কথা দিয়েছিলেন তিনি। শত কাজের মধ্যেও খুদে পড়ুয়াদের কথা ভুলে যাননি মন্ত্রী। বুধবার বাস পাঠিয়ে সেই স্কুলের ছোট ছোট পড়ুয়াদের ঝাড়গ্রাম জ়ুলজিক্যাল পার্ক দেখানোর ব্যবস্থা করে দিলেন বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা।

    এ দিন বিনপুর-১ চক্রের রাধামোহনপুর আদিবাসী প্রাথমিক স্কুলের প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে মন্ত্রীর পাঠানো বাসে করে প্রধান শিক্ষক এবং দুই সহ শিক্ষক পৌঁছে গিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের চিড়িয়াখানায়। সারাদিন হুটোপুটি করে পার্কের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরে বেড়াল ওরা।

    কয়েকদিন আগেই চিতাবাঘ পলাশকে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে পার্কের এনক্লোজ়ারে। এত কাছে থেকে বইয়ের ছবিতে দেখা জন্তুদের চোখের সামনে অবাক হয়ে দেখল তারা। কখনও চিতাবাঘের খাঁচার সামনে, কখনও ভালুকের খাঁচার সামনে ছুটোছুটি করল। কেউ কেউ আবার হরিণের এনক্লোজারের সামনে থাকা নড়তে নারাজ। আবার সজারু, এমু পাখি, হনুমানের খাঁচার সামনে চোখ বড় বড় করে দাঁড়িয়ে থাকল একদল।

    পড়ুয়াদের সেই আনন্দ আর উচ্ছ্বাস ভিডিও কলে দেখলেন বনমন্ত্রী। স্কুলের সহ–শিক্ষক রঞ্জন পালের ফোনে ভিডিও কল করেছিলেন বিরবাহা। গঙ্গামনি, দুলালি, সাগুন, বুড়ানরা মন্ত্রীকে বলল, ‘স্যরদের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসেছি, ভীষণ ভালো লাগছে। খুব মজা করছি।’

    প্রধান শিক্ষক দেবাশিস পাল বলেন, ‘গত ২৯ মার্চ মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা স্কুলে গিয়েছিলেন। তখনই পড়ুয়ারা জানিয়েছিল চিড়িয়াখানা দেখতে চায়। প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়ারা আগে কোনও দিন চিড়িয়াখানায় আসেনি।’ ছোট ছোট পড়ুয়াদের আবদার মনে রেখে মন্ত্রী যে তাদের চিড়িয়াখানা দেখিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

  • Link to this news (এই সময়)