এই সময়: আগামিকাল, শুক্রবার এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিলেন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা। সেখান থেকেই তাঁরা বিকাশ ভবনে সরকারি টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন। পাশাপাশি আজ, বৃহস্পতিবারও পুলিশি ‘নির্যাতনে’র বিরুদ্ধে শিয়ালদহ থেকে একটি মিছিলের ডাক দিয়েছেন চাকরিহারারা। দুপুর ১২টা থেকে সেই মিছিল শুরু হবে। তার আগে বুধবার রাতেই উত্তেজনা বাড়ে সল্টলেকে এসএসসি-র সদর দপ্তর আচার্য সদন তল্লাটে। সেখানে অনেক রাতে একদল কর্মহারা শিক্ষক জমায়েত করতে শুরু করেন।
কিছুক্ষণ বাদে সেখানে এসে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা (পূর্বতন ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা) কার্যকর করার নোটিস ঝুলিয়ে যায় পুলিশ। অর্থাৎ সেখানে আপাতত চারজনের বেশি লোকের জমায়েত করা যাবে না। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি চাকরিহারাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যান।
কয়েক মাসে আগেই আরজি কর ইস্যুতে জুনিয়র ডাক্তারদের নেতৃত্বে আন্দোলিত হয়েছিল গোটা বাংলা। এ বার কর্মহারা শিক্ষকদের পাশে এসে দাঁড়ানোর বার্তা দিল জুনিয়ার ডক্টর্স ফ্রন্ট। সোমবার দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতোরা শিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা সব রকম
ভাবে চাকরি হারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের পাশে আছেন। নৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি যখন যেমন সময় পাওয়া যাবে তাঁরা শিক্ষকদের আন্দোলনেও যেতে রাজি।
এ দিন যেভাবে পুলিশ শিক্ষকদের মারধর করেছে, তার বিরোধিতা করে অনিকেত বলেন, ‘আমরা পুলিশের এই নির্মম আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি। পুলিশি হেনস্থার মুখে আমাদেরও পড়তে হয়েছে। শিক্ষকরাও বাদ যাচ্ছেন না। এই দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আমরা সর্বতোভাবে শিক্ষকদের পাশে আছি।’
এ দিন কসবায় ডিআই অফিসে পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে আজ রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।