• দলের বারণে কি ব্রাত্যের সঙ্গে দেখা করলেন না? মুখ খুললেন অভিজিৎ
    আজ তক | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • চাকরিহারা শিক্ষকদের সমস্যা মেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কমিটি গঠনের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেবেন বলেছিলেন বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর কথা ছিল। যদিও কসবায় শিক্ষকদের ওপরে লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সেই চিঠি তিনি পরে এসএসসি ভবনের বাইরে ছিঁড়ে ফেলেন। যদিও, অভিজিৎবাবুর এবেহ কর্মকাণ্ডে দলের সায় ছিল না বলেই সূত্রের খবর। দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যদিও, বৃহস্পতিবার অভিজিৎবাবু জানিয়েছেন, দল তাঁর পাশে রয়েছে। সবকিছু দলকে জানিয়েই করছেন।

    সল্টলেকে এসএসসি ভবনের বাইরে রাতভর অবস্থান করেছেন চাকরিহারারা। বৃহস্পতিবার থেকে চাকরি ফেরানোর দাবিতে অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার চাকরিহারাদে সঙ্গে দেখা করতে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায় ও এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল।

    সেখানে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বলেন,'দল আমার পাশে রয়েছে। প্রথম দিন থেকেই পাশে আছে। দলকে আমি সবটা জানিয়েছি। পুলিশ লাঠি চালিয়েছিল তাই চিঠি দিতে যায়নি।'

    বুধবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের না আসা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'উনি আমার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেবেন বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইবেন। তারপর উনি পিছিয়ে গেলেন। তিনি যা যুক্তি দিচ্ছেন সেটা কোনও যুক্তি হতে পারে না। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনের কোনও যোগ নেই। আমি বসেছিলাম, উনি এলেন না। দলীয় ভাবে কোনও বিপদে পড়লেন কি না, দলীয় কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হল কি না। দলই বারণ করল কি না। পরে এতে তাঁর অসুবিধা হবে কি না তা উনিই বলতে পারবেন। আমি, আমরা হাত বাড়িয়ে বসেছিলাম। আমার অফিসে জানিয়ে দিয়েছেন যে আজকে আসতে পারছেন না। এসএসসি-তো সরকারি সংস্থা। সেখানে তাহলে গেলেন কেন? ওখানেও তে না যেতে পারতেন।'

    এদিকে,  বৃহস্পতিবার চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অভিজিৎবাবু জানতে পারেন তাঁরা অনশন শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হল অনশন। জানানো হয়েছে, ২০১৬-র এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশের দাবিতেই এই সিদ্ধান্ত। তখন তিনি বলেন, 'অনশন করার কি দরকার? এতে শরীর খারাপ হতে পারে। খানিক পরেই পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। তৃণমূল এখন কুৎসা করবে, ওদের প্রচুর টাকা। যাদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের দুঃখ সম্পর্কে কোনও ভাবনা নেই।'
  • Link to this news (আজ তক)