• বারবার টিপলেও আসে না পুলিশ! প্য়ানিক বাটন পুনর্নবীকরণে নারাজ পরিবহণ সংগঠনগুলি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • চলন্ত বাস বা যেকোনও গাড়িতে নানা ধরনের অপরাধ রুখতে এবং প্রধানত যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে বছর দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে পশ্চিমবঙ্গেরও সমস্ত বাস ও অন্যান্য যাত্রীবাহী গাড়িতে 'প্যানিক বাটন' লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যা ছিল বাধ্যতামূলক একটি নির্দেশিকা। আর, এবার সেই পরিষেবা বা ব্যবস্থাপনা পুনর্নবীকরণের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। এবং এটিও বাধ্যতামূলক। যা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলি।

    তাদের সাফ কথা, তারা এই নির্দেশ মানতে পারবে না। বিষয়টি নিয়ে তারা তাদের আপত্তি বিস্তারিতভাবে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে জানাবে বলেও ঠিক করেছে। আগামিকাল আয়োজিত হতে চলা একটি বৈঠকে মন্ত্রীকে একথা জানানো হবে।

    কিন্তু, প্রশ্ন হল - বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলি এ নিয়ে আপত্তি করছে কেন? সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য বলছে - বহু ঢাকঢোল পিটিয়ে এই ব্যবস্থাপনা চালু করা হলেও আদতে তা নাকি কোনও কাজেরই নয়!

    কেন বলা হচ্ছে একথা? আসলে প্যানিক বাটন হল বাসে বা যেকোনও যাত্রীবাহী গাড়িতে লাগানো একটি সুইচ বা বোতাম - যা যেকোনও বিপদে পড়লে যাত্রী টিপতে পারেন। এই প্যানিং বাটন আসলে 'ভেহিকল লোকেশন ট্যাকিং ডিভাইস' -এর সঙ্গে যুক্ত থাকে।

    দাবি করা হয়, প্যানিক বাটনে চাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন সেটা জানতে পারে এবং সেই বাস বা গাড়ির রিয়েল টাইম লোকেশন ট্র্যাক করে দ্রুত সেখানে পৌঁছে যেতে পারে। অর্থাৎ - ব্যবস্থা বেশ ভালোই।

    কিন্তু, বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা বলছেন, তাঁরা একাধিকবার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গাড়িতে থাকা প্যানিক বাটন টিপে দেখেছেন। তাতে না তো পুলিশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ স্থাপন করা গিয়েছে, না তো সেখানে পুলিশ পৌঁছেছে! তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে এমন নাম কা ওয়াস্তে প্যানিক বাটন রাখার দরকার কী?

    এদিকে, রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সব গাড়িরই ভিএলটিডি পরিষেবা নির্ধারিত সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে পুর্ননবীকরণ করাতে হবে। এক্ষেত্রে ৮ বছর বয়সের কম বয়সী গাড়িগুলিতে কমপক্ষে ২ বছরের জন্য এই পরিষেবা পুনর্নবীকরণ করাতে হবে। এবং তার থেকে বেশি বয়সি গাড়িগুলির ক্ষেত্রে প্রতিবছরই এই ব্যবস্থাপনা পুনর্নবীকরণ করাতে হবে। যার জন্য খরচ হবে ২,০০০ টাকা।

    বিভিন্ন বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের নেতারা বলছেন, করোনাকালের পর থেকে তাঁদের ব্যবসা দিন দিন তলানিতে এসে ঠেকছে। এই অবস্থায় এমন একটি অকেজো ব্যবস্থাপনার জন্য তাঁরা কেন গাড়িপিছু ২,০০০ টাকা খরচ করবেন?

    পালটা তাঁদের দাবি, আমজনতাকে যাতে কম খরচে সেরা পরিষেবা দেওয়া যায়, সরকার বরং সেই চেষ্টা করুক। শুক্রবারের বৈঠকে তাঁদের এই অবস্থান এবং তার কারণ পরিবহণ মন্ত্রীকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)