• ‘শিক্ষককে লাথি মারার থেকে নিকৃষ্ট কোনও ঘটনা হতে পারে না’, বললেন দেবাংশু, তাহলে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • কসবায় এক চাকরিহারাকে লাথি মারার ঘটনায় উত্তাল হয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ। বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন এবং কলকাতা পুলিশ। তারইমধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে লাথি মারার যে অভিযোগ উঠেছে, তার নিন্দা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় সাধারণ মানুষ বা বিরোধীদের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তাতেও দোষের কিছু নেই। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রকে লাথি মারা হয়েছিল, সেইসময় সাধারণ মানুষ এবং বিরোধী নেতারা কেন চুপ ছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন দেবাংশু।

    তৃণমূল নেতা বলেছেন, ‘একজন শিক্ষককে লাথি মারার থেকে নিকৃষ্ট ঘটনা হতে পারে না। এই বিষয়ে সুশীল সমাজ-সহ বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া ভুল নয়। সমর্থন করছি। কিন্তু একটা কথা বলবেন? কয়েকদিন আগে যাদবপুরে বামেদের ছাত্র-গুন্ডারা যখন দৌড়ে এসে অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের কোমরে লাথি মারলেন, তখন এই সুশীল সমাজ চুপ ছিলেন কেন? তখন এই বিরোধীরা মুখ বন্ধ রেখেছিলেন কেন? আমরা তো ওটারও বিরোধিতা করেছি, এটারও বিরোধিতা করছি।’

    সেইসঙ্গে তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান বলেন, ‘এই সমাজের কিছু ব্যক্তির কাছে কি লাথির প্রকারভেদ আছে? বাকি সব ক্ষেত্রে লাথির প্রতিক্রিয়া একরকম, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত কেউ লাথি খেলে, সে যতই অধ্যাপক বা শিক্ষক হোক, সেক্ষেত্রে স্পিকটি-নট থাকতে হবে? আগে নিজেরা নিরপেক্ষ হন। তারপর উলটো দিকের থেকে নিরপেক্ষতা আশা করবেন।’


    অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, বুধবার কসবায় স্কুল পরিদর্শক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অভিযানের সময় পুলিশকর্মীদের উপরে হামলা চালানো হয়। কোনওরকম প্ররোচনা দেয়নি পুলিশ। তারপরও পুলিশকর্মীদের উপরে হামলা চালানো হয়। রেহাই পাননি মহিলা পুলিশকর্মীরাও। সেই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে পুলিশ ‘হালকা বলপ্রয়োগ’ করেছে বলে দাবি করা হয়।


    শুধু তাই নয়, একাধিক ভিডিয়ো পোস্ট করে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, একজন বিক্ষোভকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে যে ‘পেট্রল দিয়ে জায়গাটা জ্বালিয়ে দাও।’ আর ‘এই ধরনের অবিরত আগ্রাসী আচরণের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সামান্য বলপ্রয়োগ করতে এবং উচ্ছৃঙ্খল ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়’ বলে দাবি করেছে পুলিশ। তারইমধ্যে লাথি মারার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।


    যদিও পুলিশের সেই ভিডিয়োয় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন চাকরিহারাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, কসবায় যখন লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে, সেইসময় সেখানে প্রচুর সংবাদমাধ্যম হাজির ছিল। কিন্তু এমন কোনও ভিডিয়ো পাওয়া যায়নি, যেখানে চাকরিপ্রার্থীদের এরকম কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। সেখানে লাথি মারার ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বলে দাবি করেছেন চাকরিহারাদের একাংশ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)