পথে নেমেছেন চাকরিহারারা। কসবায় আন্দোলনে নেমে লাঠিপেটা খেয়েছেন শিক্ষকরা। এরপর কলকাতার রাজপথে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। সেই আন্দোলনে চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে রয়েছে নাগরিক সমাজ। এই আন্দোলনের সঙ্গে অনেকেই আরজিকরের আন্দোলনের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। এসবের মধ্য়ে রাজ্য সরকারকে বিশেষ পরামর্শ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের।
এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে লিখেছেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, আজ প্রায় ১৮,০০০ যোগ্যতা সম্পন্ন ও বৈধ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা ভুগছেন কারণ নেতা ও মন্ত্রীরা টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন। আদালতে যান ৮০০০ অবৈধ নিয়োগপত্র নিয়ে যেটা আপনি আপনাদের লোকেদের থেকে পেয়েছেন।
দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, আপনার লোকেদের কাছ থেকে ৮ হাজার অবৈধর তালিকা নিয়ে আপনি কোর্টে যান মুখ্য়মন্ত্রী। আপনার শিক্ষামন্ত্রী, সচিবদের পাঠান। আদালতে গিয়ে বলুন, বৈধদের চাকরি ফেরত দিন।বৈধরা কেন অবৈধদের জন্য ভলান্টারি সার্ভিস করবে? আপনার প্রতিশ্রুতিকে কেউ বিশ্বাস করে না। আপনি বিপদে পড়লে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালিয়ে যান। তীব্র কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।
দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, আপনার শিক্ষামন্ত্রী ও সচিবদের পাঠান। তাঁরা আদালতে গিয়ে বলুন যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি ফিরিয়ে দিন। কেন যোগ্যরা স্বেচ্ছাশ্রম দেবেন? কেবলমাত্র অযোগ্যদের জন্য? আপনার প্রতিশ্রুতিকে কেউ আর বিশ্বাস করে না। আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালিয়ে যান। দাবি দিলীপ ঘোষের।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একদিকে শাসকদলের নেতারা শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন। অপরদিকে বিজেপি নেতারাও নানাভাবে তোপ দাগছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এসবের মধ্য়েই কার্যত দিশেহারা অবস্থা চাকরিহারা শিক্ষকদের।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, আমরা কোনও রাজনীতি করি না। আমাদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের মারধর করা হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠিপেটা করা হয়েছে। এনিয়ে তীব্র আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা।
এদিকে সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। কিছু প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও হতাশ চাকরিহারা শিক্ষকরা। ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে চাকরিহারাদের মধ্য়ে। কীভাবে পাকা চাকরি থেকে সরে গিয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দেবেন সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। কেন চাকরিচোরেদের সীমাহীন দুর্নীতির মাশুল গুনতে হবে শিক্ষকদের তা কিছুতেই বুঝতেে পারছেন না তাঁরা।
এসবের মধ্য়েই বৃহস্পতিবার মিছিল হল কলকাতায়। ন্যায় বিচারের দাবি তুলে পথে নামলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত চাকরিহারাদের মিছিল। সেই মিছিলে শামিল হল নাগরিক সমাজ। এই মিছিলের সঙ্গে অনেকেই মিল পাচ্ছেন আরজি কর আন্দোলনের মিছিলের। আরজিকরে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল বাংলা। একের পর এক মিছিলে গর্জে উঠেছিল রাজপথ। চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য সরকার।