• খড়্গপুরের বাংলো নিয়ে বিতর্কে জড়ান দিলীপ, ‘জবরদখল’ নিয়ে নোটিস দিল রেল
    এই সময় | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • খড়্গপুরের রেল কলোনির ‘৬৭৭’ বাংলো নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। ওই বাংলো কেন ‘জবরদখল’ করে রাখা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে নোটিস দিল রেল। জবরদখলকারীকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    খড়্গপুর শহরের সাউথ সাইড এলাকায় রয়েছে রেলের ‘৬৭৭ নম্বর’ বাংলো। নিজের পূর্ববর্তী সংসদীয় এলাকায় গেলে দিলীপের ঠিকানা হয় এই রেল বাংলো। ওই বাংলো কার নামে বরাদ্দ, সেটা জানতেই আরটিআই করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী। আরটিআই-এর উত্তরে জানানো হয়, রেলের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষের জন্য ওই বাংলো বরাদ্দ হয়। তবে, ২০২০ সালের মার্চ মাসেই সেই মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। এই মুহূর্তে ওই বাংলো কারও নামেই বরাদ্দ নেই।

    দিলীপ ২০১৭ সাল থেকেই ওই বাংলোতে থাকেন। তুষারকান্তি ঘোষ তাঁকে এই বাংলো ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন বলেই তাঁর দাবি। যদিও, ২০২০ সালের ৩১ মার্চের পর তুষারকান্তি ঘোষ কিংবা কারও নামেই ওই ৬৭৭নং বাংলো বরাদ্দ বা অ্যালটমেন্ট হয়নি বলে ওই আরটিআই-র জবাবে জানিয়েছিল রেল।

    ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বরের পর থেকে এই প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির অস্তিত্ব নেই। তা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ বিনা ভাড়ায় এবং অবৈধভাবে বাংলো দখল করে রাখার অভিযোগ কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষের বিরুদ্ধে। এর বিরুদ্ধেই এ বার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হলো রেলের তরফে। আগামী ১৭ এপ্রিল (২০২৫)-র মধ্যে এই জবরদখলের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তুষারকান্তি ঘোষকে। সেইসঙ্গে ২১ এপ্রিল বেলা ১টায় সশরীরে তাঁকে অথবা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে সমস্ত নথিপত্র নিয়ে খড়গপুর ডিভিশনের এস্টেট অফিসারের কাছে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    খড়্গপুর ডিভিশনের ডিআরএম (DRM) কে আর চৌধুরী এই সময় অনলাইনকে বলেন, ‘যা বলার ওই নোটিসেই বলে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু বলার নেই!’ ওই বাংলো কি নতুন করে কারও নামে অ্যালটমেন্ট হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে খড়্গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম অলোক কৃষ্ণা বলেন, ‘এখনই এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’ বিষয়ে প্রাক্তন সংসদ দিলীপ ঘোষকে ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

  • Link to this news (এই সময়)