২০২০ সালের ২৫ মার্চ, কোভিডের সময় লকডাউনের প্রথম দিনেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আইআইটি খড়্গপুরের প্রেমবাজার গেট। গত পাঁচ বছরে একাধিকবার এই গেট খোলার জন্য আবেদন করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেননি তৎকালীন ডিরেক্টর বীরেন্দ্রকুমার তেওয়ারি।
চলতি বছরের শুরুতে আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর হিসেবে ‘অতিরিক্ত’ দায়িত্ব পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর তথা বেনারস আইআইটি-র পূর্ণ সময়ের ডিরেক্টর অধ্যাপক অমিত পাত্র। তিনি এই প্রেমবাজার গেট খোলার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ এই গেট খোলা হয়।
এ দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অমিত পাত্র বলেন, ‘কোভিডের কারণেই গেট বন্ধ করতে হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তার দিকটিই বেশি করে ভাবা হয়েছিল। স্থানীয়দের আবেদনের কথাটি আমরা জানতে পারি। তাঁদের আবেগকে গুরুত্ব দিয়েই আমাদের বোর্ড অফ গভর্নর গেট খোলার পক্ষে সায় দিয়েছে।’
তিনি আরও জানান, আপাতত পায়ে হেঁটে এবং সাইকেল নিয়েই প্রবেশ করা যাবে এই গেট দিয়ে। বাইক বা অন্যান্য যানের জন্য এই গেট খুলে দেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়টি পরে ভাবনা-চিন্তা করে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, আইআইটি খড়্গপুরের মেন গেট অর্থাৎ পুরী গেট থেকে একদম সোজাসুজি প্রেমবাজার গেট। তা ব্যবহার করে এক সময়ে প্রেমবাজার, হিজলি থেকে শুরু করে সালুয়া, গোপালি, কেশিয়াড়ি এলাকায় যাতায়াত করতেন সাধারণ মানুষ। আর এই প্রেমবাজার গেট বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার ঘুরে প্রেমবাজার যেতে হতো সাধারণ মানুষকে।
এই গেট খুলে দেওয়ার জন্য শহরবাসী, আইআইটি খড়্গপুরের প্রাক্তন কর্মী তথা পেনশনার্সরা বহু আবেদন, আন্দোলন করেছেন। অবশেষে সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে দরজা খুলে দিলেন ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর অধ্যাপক অমিত পাত্র। আপাতত পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে প্রেমবাজার গেট। তাতেই উচ্ছ্বসিত প্রেমবাজার-সহ খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা ও পেনশন গ্রাহকরা।
(তথ্য সহায়তা: মণিরাজ ঘোষ)