ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ। নতুন করে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে পরিবেশ থমথমে। মানুষজন পথে নেমেছেন অন্যান্য দিনের মতোই। এলাকায় কাজকর্মও স্বাভাবিক। ফিরেছে সান্ধ্য চা-আড্ডার চেনা সেই দৃশ্য।
গত মঙ্গলবার সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছিল রঘুনাথগঞ্জ থানার ওমরপুর মোড়। পুলিশের দু'টি গাড়িতে আগুন ধরানো হয়। এই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতে একই দাবিতে বুধবার সুতি থানার আহিরণ মোড় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। তবে সেই অশান্তির রেশ কাটিয়ে চেনা ছন্দে ফিরছে জঙ্গিপুর।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘এলাকা পুরোপুরি স্বাভাবিক। নতুন করে কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে।’
তবে এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকায়। একই সঙ্গে রঘুনাথগঞ্জ ও সুতি এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা। স্থানীয় যুবক আব্দুল আল বুখারি বলেন, ‘ভয়-ভীতি কাটিয়ে মানুষ দোকান খুলছেন। এলাকার মানুষও পথে নেমে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন।’
স্থানীয় লটারি টিকিট বিক্রেতা আসগর শেখ বলেন, ‘এলাকা স্বাভাবিক রয়েছে বলেই দোকান খুলতে পেরেছি। যদিও এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। চলছে পুলিশি টহলদারিও।’ টোটো চালক মানিক শেখ বলেন, ‘এলাকায় এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। কোনও অশান্তি নেই।’
রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক তথা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী তৃণমূলের আখরুজ্জামান বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছিল, তা কাম্য ছিল না। প্রশাসনের তৎপরতায় এবং এলাকার মানুষের সহযোগিতায় দ্রুত পরিবেশ স্বাভাবিক হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁরা শেষ পর্যন্ত রাশ ধরে রাখতে পারেনি বলেই এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। যাঁরা দোষী তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে পুলিশ।’