• চৈত্রের শেষে রাজ্যের সব জেলায় ঝেঁপে বৃষ্টি, সপ্তাহান্তে ৬০ কিমি পর্যন্ত গতিতে ঝড়, জারি সতর্কতা
    আনন্দবাজার | ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • বৈশাখ মাস এখনও পড়েনি। চৈত্রেই অস্বস্তিকর গরমে হাঁসফাঁস রাজ্য। বিশেষত দক্ষিণ এবং পশ্চিমের জেলাগুলিতে দিনের বেলা টেকা দায়। এর মধ্যেই স্বস্তির বার্তা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তারা জানিয়েছে, চৈত্রের শেষ লগ্নে রাজ্যে বৃষ্টি হওয়ার মতো উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী সোমবার, সংক্রান্তি পর্যন্ত সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোনও কোনও জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। সে সব জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে দমকা ঝড় হতে পারে। দক্ষিণের বাকি জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণের সব জেলাতেই জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। শনিবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরে ঝড়বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণের বাকি জেলায় রয়েছে হলুদ সতর্কতা। রবিবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি, নদিয়ায় ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে হতে পারে ঝড়। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ওই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতেও ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় হতে পারে। সেখানে জারি হলুদ সতর্কতা। সোমবারও দক্ষিণের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    উত্তরবঙ্গেও ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়িতে। বাকি সাত জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় হতে পারে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের আট জেলার জন্যই রয়েছে কমলা সতর্কতা। শনিবারও ঝড়বৃষ্টির জন্য সেই কমলা সতর্কতা জারি উত্তরের আট জেলায়। ওই দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং এবং কোচবিহারে।

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব বিহারের উপরে একটি উচ্চচাপ বলয় রয়েছে। অন্য একটি রয়েছে উত্তর বাংলাদেশে। এই আবহে বঙ্গোপসাগর থেকে বিপুল পরিমাণে জলীয় বাষ্প ছুটে আসছে। তার প্রভাবেই গোটা রাজ্যে বৃষ্টির জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)