• 'শিক্ষকদের মেরেছে পুলিশ, এরপরও কি তৃণমূলকে ভোট দেবে মানুষ?' প্রশ্ন মিঠুনের
    আজ তক | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। গত লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করার চেষ্টা করেছিল গেরুয়া শিবির। তবে ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। বছর গড়ালেই বিধানসভা ভোট। তার আগে আর জি কর কাণ্ড হয়েছে। তালিকায় নয়া সংযোজন শিক্ষকদের চাকরি যাওয়া ও প্রতিবাদকারী চাকরিহারাদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, মারধর। এরপরও  কি বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে ভোট দেবে সাধারণ মানুষ? প্রশ্ন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। 

    তিনি বলেন, 'রাজ্যে শিক্ষকদের মারধর করা হয়েছে। এটা তো নতুন কোনও ঘটনা নয়। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই আক্রান্ত হতে হয়। এর আগে সাংবাদিক, ডাক্তারদের মার খেতে হয়েছে। এবার শিক্ষকদের পেটাল পুলিশ। ছাত্রদেরও তো আক্রান্ত হতে হয়েছিল। তারপরও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে মানুষ। এবার শিক্ষকদের মারধর করা হয়েছে। এরপরও কি সাধারণ মানুষ এই শাসকদলকেই ভোট দেবে? সেটাই দেখার।' 

    প্রসঙ্গত, ৩ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন চাকরিহারারা। তাঁদের এই অবস্থার জন্য রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দায়ি করেছেন তাঁরা। চাকরিহারাদের নিয়ে সভাও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের আশ্বাস দেন। তবে মৌখিক আশ্বাসে কাজ হয়নি। এরপর থেকে জেলায় জেলায় ডিআই অফিসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন চাকরিহারারা।

    গতকাল কসবার ডিআই অফিস অভিযান করেন চাকরিহারারা। তাঁরা গেটের তালা ভেঙে দেন বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। মারধর করা হয়। পেটে লাঠি মারা হয় এক চাকরিহারার। সেই ছবি ভাইরাল হয়। তারপর থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে। চাপে পড়ে রাজ্য সরকারও। 

    এদিকে এই ঘটনার সমালোচনা করে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আজ পথে নামেন চাকরিহারারা। কলকাতার রাজপথে মিছিল করেন তাঁরা। যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা সামনে আনার আবেদন জানানো হয়।      

     
  • Link to this news (আজ তক)