• কল্যাণমায়ের জামিনের বিরোধিতা নিয়ে ইডির হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করছে ইডি। কিন্তু এসএসসি কাণ্ডে কেন কল্যাণমায়ের জামিনের বিরোধিতা? এবিষয়ে কেন্দ্রীয় আর্থিক দুর্নীতি বিষয়ক তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। পেশ করতে বলা হয়েছে হলফনামা।

    পূর্বেই এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময়কে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। পরে ইডি তাঁকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের নির্দেশ, কেন কল্যাণময়ের জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে, তা ইডিকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। আগামী ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

    সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ে চাকরি হারিয়েছেন রাজ্য সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের প্রায় ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যখন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তখন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দায়িত্বে ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১২ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির প্রশাসক করা হয় তাঁকে। ২০১৬ পর্যন্ত টানা চার বোকার সেই পদে ছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি করা হয়। ২০২২ সালের ২২ জুন ওই পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। কল্যাণময় ‘বেআইনি ভাবে’ পদ আঁকড়ে ছিলেন। তিনি পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন ওই পদের মেয়াদ দু’বার বৃদ্ধি করা হয়। প্রথমে ওই পদে থাকার বয়ঃসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ এবং পরে তা আরও বাড়িয়ে ৬৮ করা হয়। কল্যাণময় অবশ্য ৬৮ পেরিয়ে আরও ১৬ মাস সবেতন পর্ষদের ওই পদে বহাল থেকেছেন। তিনি অতিরিক্ত ৩২ লক্ষ টাকা বেতন নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া উপদেষ্টা কমিটিরও অন্যতম সদস্য ছিলেন।

    কল্যাণময়ের আমলে স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির বড় অভিযোগ ওঠে। তাতে জড়িত থাকার অভিযোগেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন কল্যাণময়। পরে ইডিও এই মামলার তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় ইডি কল্যাণময়ের জামিনের বিরোধিতা করতেই হলফনামা পেশের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)