জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চাকরি চাইতে গিয়ে জুটল লাঠিপেঠা! কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে যখন পথে নেমেছে SFI,তখন অনুন্ধান শুরু করল কলকাতা পুলিস। কারা বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন? কেনইবা লাঠিচার্জ? অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দিতে বলা ডিসিকে।
ঘটনাটি ঠিক কী? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও আশ্বস্ত নন চাকরিহারারা! চাকরি ফিরে পেতে এবার পথে নামলেন তাঁরা। গতকাল, বুধবার চাকরিহারাদের বিক্ষোভে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কসবা ডিআই অফিস। বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিস নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এমনকী, চাকরিহারা শিক্ষককে লাথি মারতে দেখা গিয়েছে এক পুলিস আধিকারিককে!
এর আগে, গতকাল বুধবারই কলকাতা পুলিসের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রথম পুলিসের উপরেই হামলা চালিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তার জেরেই বাধ্য় হয়ে হালকা লাঠিচার্জ করা হয়। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামে না।
এদিকে কসবায় চাকরিহারাদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জে নিন্দা করেছে তৃণমূলও। তবে পাল্টা যাদবপুরের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে তারা। ফেসবুকে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের পোস্ট, 'কদিন আগে যাদবপুরে বামেদের ছাত্র-গুন্ডারা যখন দৌড়ে এসে অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের কোমরে লাথি মারলেন, তখন এই সুশীল সমাজ চুপ ছিলেন কেন? তখন এই বিরোধীরা মুখ বন্ধ রেখেছিলেন কেন? আমরা তো ওটারও বিরোধিতা করেছি, এটারও বিরোধিতা করছি'।
দেবাংশু বলেন, 'শুধু শিক্ষক কেন, কোনও মানুষকেই পুলিস লাথি মারতে পারে না। সেটা যথেষ্ট নিন্দনীয়। আমার নিজেরই খুব খারাপ লেগেছে। কিন্তু আমার আরও খারাপ লেগেছে, কিছু সুশীল সমাজ ও বিরোধী দল তাঁরা লাথিরও প্রকারভেদ করছেন'! তাঁর দাবি, 'তৃণমূলের কোনও অধ্যাপক ও শিক্ষক লাথি খায়, তখন তাঁর অধ্যাপক বা শিক্ষক পরিচয়টা বড় হয়ে যায় না। তখন তাঁর তৃণমূল পরিচয়টা বড় হয়ে যায় এবং তৃণমূল লাথি খেয়েছে বড় হয়ে যায়। এই বিরোধীরা যখন ওমপ্রকাশ মিশ্র এক ছাত্র পিছন থেকে এসে লাথি মেরেছিলেন, তখন দিব্যি সমর্থন করেছিলেন এবং কিছু ক্ষেত্রে চুপ ছিলেন। এই দ্বিচারিতাটা কেন? আমরা তো দুটিরই প্রতিবাদ করছি'।