মল্লরাজ বীরহাম্বির সভাকবির নামে হোক নতুন স্টেশন, দাবি মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরবাসীর
প্রতিদিন | ১১ এপ্রিল ২০২৫
সুব্রত বিশ্বাস: মল্লরাজা বীরহাম্বির সভাকবির নামে রেল স্টেশনের দাবি উঠল এবার। বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর নির্মীয়মাণ রেলপথে নতুন একটি স্টেশন তৈরির করতে হবে। সেই স্টেশনের নাম দেওয়া হোক সভাকবি ‘কবিচন্দ্র’ নামে। বিষ্ণুপুর কোতুলপুর-জয়পুরের ব্লাক নাগরিক সমিতি এখন এই দাবিতে সরব। পূর্ব রেলের জিএম, হাওড়ার ডিআরএম-সহ বিডিও, এসডিও-র কাছে দাবিপত্র পাঠিয়েছে। আবেদন গিয়েছে রেলমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর কাছেও।
কোতুলপুর-জয়পুর ব্লক নাগরিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর মণ্ডল জানিয়েছেন, বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর নতুন শাখায় ময়নাপুর ও বড় গোপীনাথপুরের মাঝে ২৭৭ নম্বর রেলব্রিজের কাছে নতুন স্টেশন নির্মাণের দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও দাবি স্টেশন নির্মাণের পর ওই স্টেশনের নাম করতে হবে মল্লভূমের রাজা বীরহাম্বির সভাকবি ‘কবিচন্দ্র’ শংকর চক্রবর্তীর নামে। ময়নাপুর ও বড় গোপীনাথপুরের দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার। ফলে কোতুলপুর ব্লকের সাতটা পঞ্চায়েত ও মেদিনীপুর ও হুগলির তিনটি পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষজনকে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে স্টেশনে পৌঁছতে হবে। ফলে ২৭৭ নম্বর নদী ব্রিজের পাশে একটি স্টেশন করলে ন’টি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজন উপকৃত হবে।
নাগরিক সমিতির দাবি, স্টেশনটি হলে তার নাম দিতে হবে মল্লার রাজার সভাকবির নামে। দাবির প্রেক্ষিতে তিনি জানান, স্থানীয় কোতুলপুরের পানুয়া গ্রামে বাড়ি ছিল কবিচন্দ্র শংকর চক্রবর্তীর নামে। বীরহাম্বির সভাকবি থাকার সময় তাঁর হাতে লেখা বহু তালপাতার পুঁথি সংগ্রহে রয়েছে বিষ্ণুপুর সাহিত্য সংগ্রহশালায়। পুঁথি রয়েছে কলকাতা ন্যাশানাল লাইব্রেরিতে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে তাঁর রচিত পুঁথি রয়েছে। এহেন মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই বিষ্ণুপুরবাসীর। তাঁর নামে এই স্টেশন হলে তাঁকে প্রকৃত সম্মান জানানো হবে বলে তিনি জানান। নতুন স্টেশনে নির্মাণ ও তার নামকরণ সব কিছুই নির্ভর করে রাজ্যের উপর, এমনই জানিয়েছে রেল।
পূর্ব রেলের সূত্রে বলা হয়েছে, নতুন স্টেশনের জন্য যে দাবি উঠেছে, তা, রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর রেল বোর্ডের কাছে আবেদনে জানাবে। রেল বোর্ড আবেদন খতিয়ে দেখে তা মঞ্জুর করে। নামকরণের বিষয়টিও রাজ্যের এক্তিয়ারে পড়ে। দাবির নামটি রাজ্য সরকার সম্মতি জানিয়ে চিঠি দেবে রেলকে। অন্য ক্ষেত্রে রেল তিন, চারটি নাম নির্বাচন করে তা রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরে পাঠাবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা মঞ্জুর করে রেলকে সম্মতি দিলেই স্টেশনের নামকরণ হয়ে যাবে কবিচন্দ্রর নামে।