অর্ণব দাস, বারাসত: দাদাগিরি, মস্তানি নয়, তৃণমূল দল তৈরি হয়েছে মানুষের সেবা করার জন্য। এসব করলে তৃণমূলের দরজা চিরকালের মতো বন্ধ মহিলাদের কটূক্তি করাকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি-গুলি কাণ্ডে এভাবেই সমাজবিরোধীদের সতর্ক করলেন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। দিঘড়া উত্তরপাড়া এলাকায় গ্রামবাসীদের ভরসা জোগাতে একটি সভা করেন তিনি। সেখানেই তিনি গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়ে জানান, গ্রামের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য কমিটি তৈরি করে দেওয়া হবে।
ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। মদ্যপ অবস্থায় গ্রামের মহিলাদের কটূক্তি করাকে কেন্দ্র করে ওইদিন মাঝরাতে গুলি-বোমাবাজির ঘটনা ঘটে অশোকনগর থানার দিঘড়া-মালিকবেরিয়া পঞ্চায়েতের দিঘরা উত্তরপাড়া এলাকায়। গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় এক যুবক। গ্রামের এক সরকারি পানীয় জল প্রকল্পের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছ’টি তাজা বোমা। তাতে নাম জড়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা সৈয়দ বশিরউদ্দিনের। তাঁর বাড়ি থেকেই গুলিকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তৃণমূল নেতা-সহ পাঁচজন গ্রেপ্তারও হয়েছে।
আতঙ্কের এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের ভরসা জোগাতে বুধবার রাতে সেখানে সভা করেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। গুলিকাণ্ডে নিজের দলের নেতা গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে সমাজবিরোধীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল দল গড়েছেন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দেওয়ার জন্য। দাদাগিরি, মস্তানি করার জন্য নয়। মুখ্যমন্ত্রী কখনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। যে বা যারা দাদাগিরি করবে, তাদের জন্য তৃণমূলের দরজার চিরকালের জন্য বন্ধ।” নারায়ণ গোস্বামীর আরও বক্তব্য, “উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। পুলিশ যথেষ্ট তৎপর। ঘটনার পরেই অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রামের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য কমিটি তৈরি করে দেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, বোমাবাজি ও শুটআউটের ঘটনায় তৃণমূল নেতার নাম জড়ানো নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। এমন আবহে বিধায়কের এই কড়া বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।