• অবশেষে ইছামতী সংস্কারে সবুজ সংকেত, বনগাঁর পুরপ্রধানকে চিঠি সেচদপ্তরের
    প্রতিদিন | ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • জ্যোতি চক্রবর্তী,বনগাঁ: ইছামতী নদী নাব্যতা হারিয়েছে বহুদিন আগেই। কিন্তু সংস্কার হয়নি এখনও। নেপথ্যে বহুবার উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। অবশেষে ইছামতি সংস্কারে পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ রাজ্যের সেচ মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে ইছামতী নদী সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন। সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে এবার গোপাল শেঠকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে বলেই খবর।

    গোপাল শেঠ বলেন, “রাজ্যের সেচমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম ইছামতী নদী সংস্কার করার জন্য। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। সেচদপ্তর চিঠি দিয়ে জানিয়েছে সংস্কারের জন্য অন্যান্য সমস্ত দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।” জানা যাচ্ছে, উৎস মুখে সংস্কার এবং কচুরিপানা মুক্ত করে নদী সংস্কার করতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ হবে।

    প্রসঙ্গত, ইছামতী নদী প্রায় ২১৬কিলোমিটার দীর্ঘ। উৎসমুখ নদিয়ার চূর্ণী নদীতে। বেশ কিছুটা অংশ বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফের ভারতে প্রবেশ করেছে। বনগাঁ-বাগদা-গাইঘাটার বেশ কিছু এলাকায় ভারত-বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণ করেছে ইছামতী। এই ইছামতী নদী নাব্যতা হারিয়েছে বহুদিন আগেই। বিশেষ করে নদীর উৎসমুখ একেবারে মজে গিয়েছিল। অতীতে ইছামতী নদী দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য চলত। বর্তমানে সেটা বন্ধ। নদী মজে যাওয়ায় বহু মৎস্যজীবী পেশা বদল করছে। এদিকে সময়ের সঙ্গে নদীর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। অনেক জায়গায় কচুরিপানার মধ্যেই গজিয়ে উঠেছে কচুবন। খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই খেলার মাঠ না চাষের জমি। এবার সেই নদী আবার পুরনো অবস্থায় ফিরবে বলে আশাবাদী আমজনতা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)