চাকরিহারা শিক্ষকদের কোন পরিস্থিতিতে লাঠিচার্জ করা হলো? ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতার কাছে রিপোর্ট তলব লালবাজারের। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার কসবার ডিআই অফিসে গোলমালের ঘটনায় আক্রান্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করল পুলিশ। তার মধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কসবা ডিআই অফিসে গোলমালের ঘটনায় চাকরিহারা শিক্ষক এবং কর্মরত পুলিশকর্মীদের মধ্যে কারা প্রথম প্ররোচনা দিয়েছে, তা নিয়ে দু’পক্ষের বিতণ্ডা শুরু হয়েছে। একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছেন তাঁরা। ঝামেলার ছবি এবং ভিডিয়ো নিয়েও শুরু হয়েছে জোর তরজা। পুলিশের লাথি মারার ভিডিয়ো যেমন ভাইরাল হয়েছে, তেমনই আবার ‘পেট্রোল দিয়ে জায়গাটা জ্বালিয়ে দাও’–– এই ফুটেজ সামনে এনে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য কী ছিল, কোন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ‘হালকা বলপ্রয়োগ’ করতে হয়েছে, এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাও বোঝানোর চেষ্টা করেছে কলকাতা পুলিশ।
যদিও পুলিশের দাবি অস্বীকার করা হয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের তরফে। চাকরিহারাদের তরফে মহম্মদ আবদুল্লা আল মনজুমের দাবি, ‘আমাদের মধ্যে কেউ এ কথা বলবে বলে মনে হয় না। বরং, পেট্রল দিয়ে আমরা নিজেদের জ্বালিয়ে দিতে বাধ্য হব, যদি সসম্মানে পদ ফিরে না-পাই। নিজেদের জ্বালানো ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনও উপায় থাকবে না।’
চাকরিহারাদের মঞ্চের নেতা চিন্ময় মণ্ডলের বক্তব্য, ‘ডিআই অফিস শিক্ষকদের কর্মক্ষেত্র। সেখানে শিক্ষকরা যাবেন, সেটাই কাম্য ছিল। তা হলে পুলিশ এ ভাবে মারমুখী হয়ে উঠল কেন? যদি বা ঘটনার ঘনঘটায় কেউ মুখ ফসকে রাগের মাথায় ওই রকম কথা বলেও থাকেন, কার্যক্ষেত্রে তো এমন কিছু করেননি, তাহলে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এ সব দেখানো হচ্ছে?’
লালবাজার সূত্রে দাবি, যোগ্য চাকরিহারারা যখন গার্ডরেলে ধাক্কাধাক্কি করেন, তখন ৪ জন পুলিশকর্মী জখম হন। তাঁদের মধ্যে দু’জন রুবি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। বাকি ২ জন চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। একজন পুলিশ কর্মীর অবস্থা গুরুতর। পুলিশ মার খাওয়ার পরে উন্মত্ত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতেই লাঠিচার্জ করা হয়।