লাঠিচার্জ। সঙ্গে লাথিচার্জও। কসবার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আন্দোলকারীদের রুখতে ‘হালকা বলপ্রয়োগ’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। যে শিক্ষককে লাথি মারা হয়েছে, সেই শিক্ষকের নাম অমিতরঞ্জন ভুঁইয়া। তিনি কলকাতায় চাকরিহারাদের মিছিলে হাজির ছিলেন বৃহস্পতিবার। কেন তাঁকে হঠাৎ লাথি মারা হলো? কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল? নিজের মুখেই বললেন সেই শিক্ষক।
অমিতরঞ্জন জানান, ঘটনার দিন সকালে কসবা ডিআই অফিসে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ দেখতে যান অন্যান্য চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গেই। তিনি বলেন, ‘মেন গেট বন্ধ করে রেখেছিল। ঢুকতে দিচ্ছিল না। যখন আমরা জোরপূর্বক ঢুকি, কিছুক্ষণ পরে আমাদের সরে যেতে বলা হয়। আমরা সরে না গেলে তর্কাতর্কি শুরু হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। আমাদের অনেক আন্দোলনকারীই আহত হন।’ তাঁকে লাথি মারা হয়েছে বলে দাবি করেন ওই শিক্ষক। তাঁর বক্তব্য, ‘আমাকে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। আমার পিছনে লাথি মেরেছে। আমার জামার কলার ধরার চেষ্টা হয়েছে।’
অন্যদিকে, পুলিশের তরফেও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। যে পুলিশ আধিকারিককে লাথি মারতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি করছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা, তাঁকে হেনস্থা করার একটি ভিডিয়ো সামনে আনা হয়েছে। ডিআই অফিসের গেটের সামনে থেকে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিয়োতে।
পুলিশের তরফে সমাজমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ‘কিছু অসাধু ব্যক্তি গুজব ছড়াচ্ছেন যে, কলকাতা পুলিশের পোস্ট করা ভিডিয়োগুলি নাকি বুধবারের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এ বিষয়ে স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে, শুধুমাত্র উপস্থাপনার স্বার্থে একাধিক ক্লিপ একত্র করে একটি ভিডিয়ো তৈরি করা হয়েছে।’ শুধু তাই নয়, লাঠি এবং লাথিচার্জের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে লেখা হয়েছে, ‘পেট্রল দিয়ে জায়গাটা জ্বালিয়ে দাও’ বলতে শোনা যাচ্ছে এক প্রতিবাদকারীকে। এই ধরনের অবিরত আগ্রাসী আচরণের মুখোমুখি হয়ে, কলকাতা পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সামান্য বলপ্রয়োগ করতে এবং উচ্ছৃঙ্খল ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়।’