এপ্রিলের বেতন কি মিলবে চাকরিহারাদের? প্রতিবাদের মিছিলেও ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশ্ন
হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ এপ্রিল ২০২৫
স্কুলে নয়। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। সব কিছু যেন ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। একেবারে বিভ্রান্তিকর অবস্থা। তবে এসবের মধ্য়ে একটা প্রশ্ন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে চাকরিহারাদের। সেটা হল এই যে এপ্রিল মাস, যে মাসে স্কুলে না গিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষকই আন্দোলনের রাস্তায় সেই সমস্ত চাকরিহারা শিক্ষক তাঁরা কি বেতন পাবেন?
এদিকে সূত্রের খবর, স্কুলগুলির বেতন পোর্টাল খুলে গিয়েছে। সেখানে নামও রয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। কিন্তু তাঁরা বেতন কি পাবেন?
আন্দোলনে নামছেন, পুলিশের লাঠি খাচ্ছেন, চড়া রোদে স্লোগান উঠছে আমরা কারা যোগ্য যারা। কিন্তু একটা প্রশ্ন মাথার মধ্য়ে ঘুরপাক খাচ্ছে বেতন কি পাবেন?
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরিহারাদের এই মাসের বেতন দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে আইনি মতামত নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্য়েই শুরু হয়েছে।
আসলে মূল প্রশ্ন দুটি। একটা হল দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি আদালত অবমাননার বিষয় হয় সেক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। সেকারণেই আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। অন্য়দিকে রাজ্য়ের শীর্ষ মহল থেকে বলা হয়েছে স্কুলে যেতে। কিন্তু যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে তাঁরা কীভাবে স্কুলে যাবেন? এই প্রশ্নটাও উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বেতন পোর্টাল খোলা থাকার কথা। সেক্ষেত্রে তার আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলে সমস্য়া হতে পারে। সেকারণেই এবার অত্যন্ত সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছে শিক্ষা দফতর। সমস্ত পক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে চাকরিহারা শিক্ষকরা পড়েছেন উভয় সংকটে। একদিকে বেতন না পেলে বহু শিক্ষক সমস্য়ায় পড়বেন। ব্যাঙ্কের ইএমআই দেওয়া যাবে না। সংসার চলবে না। চিকিৎসার খরচ সামাল দেওয়া যাবে না। আবার যদি বেতন দেয় সরকার তাহলে পরবর্তীকালে যদি সেই বেতন ফেরত দিতে হয় তাহলে আবার আর এক সমস্যা।
তবে সব দিক খেয়াল রেখে পা ফেলতে চাইছে রাজ্য। এদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস দিলেন এক আইনজীবী।
১) SCর রায়ের চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে চাকরিসুরক্ষার চেষ্টা করছেন, তাতে জটিলতা তৈরি করে প্রক্রিয়ার গতি কমানোর চক্রান্ত। চাকরিহারারা কী চান? মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টা সফল হোক, আপনাদের চাকরি বাঁচুক; নাকি এসব আইনি জট পাকানোর চক্রান্তকারীরা জটিলতা বাড়াক। অবস্থান নিন আপনারা।
২) রামবাম ভোটে পারে না, কোর্টে জট পাকায়।
৩) মুখ্যমন্ত্রী বিচারব্যবস্থায় সম্পূর্ণ আস্থা রাখেন। বিচারপতিদের সম্মান দেন। কিন্তু কোনো রায়ে ন্যায়বিচার না হলে বা বহু মানুষের ক্ষতি হলে, সেই অংশ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে পুনর্বিবেচনার কথা বলেন। এর সঙ্গে আদালত অবমাননার কোনো সম্পর্ক নেই। মনে রাখবেন, বিচারপতি চাকরি ছেড়ে বিজেপির সাংসদ হতে গেলেও সাধারণ মানুষের চোখে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।'লিখেছেন কুণাল ঘোষ।